তারুণ্যের ফ্যাশনে স্কার্ফ


প্রকাশিত: ০৯:০৪ এএম, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

তারুণ্যের ফ্যাশনে স্কার্ফের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে। অনেকে আবার ওড়নার পরিবর্তে ব্যবহার করছেন স্কার্ফ, যা ফ্যাশনের পাশাপাশি নিজের চলাফেরাকেও সহজ করে দিচ্ছে। তো হয়ে গেল বাহারি ফতুয়া আর জিনসের সঙ্গে ছোট্ট স্কার্ফের অনুষঙ্গ। বর্তমানে স্কার্ফের আকারে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। এই তো কিছুদিন আগেও দেখা যেত অনেক ছোট আকৃতির স্কার্ফ। তবে বর্তমানে স্কার্ফগুলো আকৃতিতে একটু বেড়েছে।

বাজারে পাবেন বিভিন্ন ধরনের স্কার্ফ ওড়না এসব ওড়না যেকোনো ধরনের ফতুয়া বা কুর্তার সঙ্গে মানিয়ে যাবে দারুণ। চাইলে সুতির সাদামাটা ছোট ওড়না নিতে পারেন আবার কুচি দেওয়া ওড়নাও নিতে পারবেন।

বেশির ভাগ স্কার্ফই তৈরি হয় জর্জেট ও সিল্ক কাপড়ে। তবে সুতি, নেট, ক্রেপ, এন্ডি, উল প্রভৃতি কাপড়ের স্কার্ফও পাওয়া যাচ্ছে। ডিজাইন ও নকশায় ব্যবহার হয় জরি, চুমকি, এমব্রয়ডারি, লেস ও টারসেল। কাপড় হিসেবে ব্যবহার করা হয় হাফ সিল্ক, কটন চুন্দ্রি ইত্যাদি। স্কার্ফগুলোতে ভিন্নতা আনতে সাইজের পাশাপাশি চুমকির কাজও রয়েছে।

কোনোটাতে নেটের কাজ করা, ক্রেপের ছোট ওড়না, সুতির সঙ্গে জরির কাজ করা আবার মিশ্র কাপড়ে জরির কাজ করা ওড়নাও পাবেন। আর এসব পাবেন ২০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যেই। কিছু কিছু স্কার্ফে গ্লিটার এমবোস ছাড়াও কারচুপির কাজ করা হয়। আমাদের দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো তৈরি করছে হরেক ডিজাইনের স্কার্ফ। স্ট্রাইপের মধ্যে কটন কাপড়ের ডাবল লেয়ার স্কার্ফ পাওয়া যাচ্ছে। রঙের ক্ষেত্রেও রয়েছে বৈচিত্র্য। তবে গাঢ় রঙের স্কার্ফগুলোই বেশি পছন্দ করছে তরুণীরা। একরঙা ও প্রিন্ট দুই ধরনেরই পাওয়া যায়।

বাজারে ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের স্কার্ফ পাওয়া যায়। বর্তমানে বেশকিছু ফ্যাশন হাউস স্কার্ফ তৈরি করছে। গাউছিয়া মার্কেট থেকেও কিনে নিতে পারেন পছন্দসই স্কার্ফ। সেখানে দাম পড়বে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা। প্রায় সব মার্কেট ও ফ্যাশন হাউসেই স্কার্ফ পাবেন। ব্যতিক্রমী নকশার স্কার্ফ পাবেন ইনফিনিটি, ওটু, ইয়ালো, স্মার্টেক্স প্রভৃতি ব্র্যান্ডের শপগুলোয়। আড়ংয়েও ভালো স্কার্ফ পাওয়া যায়। এছাড়া নিউমার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, মিরপুর, সীমান্ত স্কয়ার, ইস্টার্ন প্লাজা, বেইলি রোডেও পাবেন দেশী-বিদেশী নানা ডিজাইনের স্কার্ফ।

এইচএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।