কিডনির সুরক্ষায় করণীয়
কিডনির সুরক্ষায় সচেতন হতে হবে আমাদের সবাইকেই। কিডনিতে সমস্যা নেই বলে যে হবেও না তার নিশ্চয়তা কী! তাই কিডনির সুরক্ষায় আগেভাগেই মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম-
১. ব্লাড সুগারের লেভেল স্টেডি থাকা চাই। উচ্চ ব্লাড সুগার কিডনির ভেতরের ব্লাড ভেসেল’গুলোর ক্ষতি করে, ফলে ঠিকমতো রক্ত পরিশোধন হয় না। ব্লাড সুগার ঠিক থাকলে, কিডনিও ভালো থাকে।
২. উচ্চ রক্তচাপ কিডনি ফেইলিওর-এর দ্বিতীয় প্রধান কারণ। দীর্ঘমেয়াদে হাই ব্লাড প্রেসার ব্লাড ভেসেলগুলোর ক্ষতি করতে পারে। কিডনির কর্মক্ষমতা অক্ষত রাখার জন্য রক্তচাপ ১৪০/৯০-এর বেশি হলে চলবে না। রক্তচাপ কম রাখার জন্য দরকার পড়লে ওষুধ খেতে হবে।
৩. কথায় বলে ‘ব্যালেন্সড ডায়েট’, মানে ফলমূল, শাকসবজি, ফাইবার ইত্যাদি খেয়ে ওজন ঠিক রাখা প্রয়োজন। বেশি মোটা হওয়ার সঙ্গে রক্তের উচ্চচাপ এবং ডায়াবেটিস, উভয়েরই যোগ আছে। যতো কম সম্ভব লবণ খাওয়া উচিত, কেননা অতিরিক্ত পরিমাণ লবণ কিডনির ক্ষতি করে।
৪. শরীর থেকে হানিকর পদার্থ ফিলটার করে বার করার জন্য কিডনির পানি লাগে। কাজেই দিনে দেড় থেকে দু’লিটার পানি খাওয়া উচিত। ক্রীড়াবিদদের আরো বেশি পানি লাগবে। ডায়ালিসিস-এর পেশেন্টদের অনেক কমেই কাজ চলে যায়।
৫. ব্লাড ভেসেল-এর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে ধূমপান। এছাড়া সাধারণভাবেই ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।
৬. বহুদিন ধরে ব্যথা কমানোর ওষুধ খেলে কিডনির ক্ষতি হয়। আগে থেকেই কিডনির ক্ষতি হয়ে থাকলে, বাজারে কেনা যায়, এমন পেইনকিলার নেওয়াটাও বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এইচএন/এমএস