কর্মজীবীরা যা খাবেন


প্রকাশিত: ০৬:৪১ এএম, ৩০ মার্চ ২০১৫

যেকোনো কর্মজীবী মানুষেরই শরীর ও মনকে সুস্থ রাখার জন্য খাদ্যাভ্যাসকে সমৃদ্ধ করা জরুরি। অফিসে কাজের চাপে খাওয়ার ব্যাপারে উদাসীনতা দেখা দেয় অনেকের মধ্যেই। কিন্তু এটা ঠিক নয়। নিয়মিত খাদ্যগ্রহণ না করলে শরীর তো বিদ্রোহ জানাবেই, সেইসঙ্গে খিটমিটে হয়ে যাবে মেজাজও। ক্ষুধা পেটে কি আর ঠান্ডা মাথায় কাজ করা যায়! তাই কাজের ক্ষেত্রে মনোযোগী হতে চাইলে খাদ্যতালিকার দিকে নজর দিন। একটি পরিপূর্ণ খাদ্যতালিকাই দিতে পারে আপনাকে পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে কাজ করার শক্তি। চলুন জেনে নিই, কেমন হতে পারে একজন কর্মজীবীর প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকা-

১. যারা দুপুরে ভাত ছাড়া অন্য কিছু খেতে পারেন না, তারা অফিসে ভাত অল্প খেতে পারেন।

২. অফিসের জন্য আরেকটি সুবিধাজনক খাবার হলো রুটি-সবজি। ডিম-সবজি হলে ভালো, এতে পুষ্টিমান ঠিক থাকে।

৩. অফিসে দুপুরের খাবারে নুডলস খেতে পারেন। খুব অল্প সময়ে সকালবেলাই রান্না করা যায় এটি। নুডলস-জাতীয় পাস্তা ও চাওমিন নিতে পারেন অফিসে। নুডলস, পাস্তা কিংবা চাওমিনকে পুষ্টিকর করে তোলার জন্য সবজি, মাংস, ডিম ইত্যাদি দিয়ে রান্না করুন।

৪. অফিসে সহজেই খাওয়া যায়, এমন একটি খাবার হলো স্যান্ডউইচ। এটা বানানো খুব সোজা। নিজের স্বাদ ও পছন্দমতো ডিম, মুরগির মাংস কিংবা সবজি দিয়েও স্যান্ডউইচ বানিয়ে নিতে পারেন।

৫. যারা ওজন নিয়ে সমস্যায় আছেন কিংবা সালাদ খেতে ভালোবাসেন, তারা অফিসের খাবারে সালাদের পরিমাণ বেশি রাখতে পারেন। সবজি ফলমূল দিয়ে তৈরি সালাদ আপনি ভাত বা রুটির চেয়ে একটু বেশি পরিমাণে খাবেন।

৬. দুপুরে যারা ভারী খাবার উপেক্ষা করতে চান, তাঁরা আপেল, কমলা, নাশপাতি ইত্যাদি ফল খেতে পারেন। বাসায় তৈরি সবজির স্যুপও খেতে পারেন। আশযুক্ত এই সবজি সারা দিনে যে পরিমাণ ভিটামিন, মিনারেল প্রয়োজন, তা পূরণ করে দেবে।

৭. বিকালের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই একটি আপেল। আপেল মানবদেহের পেশির ক্ষয়রোধ করে। রক্তে চর্বির (কোলেস্টোরল) মাত্রা কমায়, শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ব্যায়াম শুরুর আগে একটি আপেল অতিরিক্ত শক্তি জোগাবে।

৮. রাতের খাবারে আমিষ রাখতে হবে। আমিষ মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। কিন্তু রাতে ঘুমানোর আগে কোনো সামুদ্রিক খাবার না খাওয়াই ভালো। সামুদ্রিক খাবার শরীরের জন্যে অবশ্যই ভালো, তবে সেটি কোনো কাজ এবং দৌড়ানোর আগে। ঘুমানোর আগে সামুদ্রিক খাবার ত্যাগ করাই শ্রেয়।

৯. রাতে ভালো ঘুমের জন্য এক গ্লাস চেরি জুস। চেরিতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, যা মস্তিষ্কের সিরোটোনিন নিঃসরণে সহায়তা করে। এটি রাতের ভালো ঘুমের সহায়ক। কিন্তু ঘুমানোর আগে গরম দুধ পান করবেন না। কারন এটি সিরোটোনিন নিঃসরণের হার কমিয়ে দেয়। ফলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।