ঘরের ভেতরকার পরিবেশ ভালো রাখবেন যেভাবে


প্রকাশিত: ০৫:২৫ এএম, ১৪ জানুয়ারি ২০১৭

আপনি সারাদিন যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, দিন শেষে আপনার ঘরটাই হয়ে থাকে আপনার ক্লান্ত দিনের শেষ আশ্রয়। তবে সেই আশ্রয়টি যদি সুন্দরভাবে না থাকে তবে তাতে যারা বসবাস করে কিংবা একটা লম্বা সময় ধরে থাকে তাদের অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে। এছাড়া ঘরের কিংবা বাড়ির অভ্যান্তরীণ আবহাওয়া ভালো না থাকলে তা সরাসরি মানুষের মনের ওপর প্রভাব ফেলে। আপনার ভালো মনকে খারাপ করে দিতে ঘরের গুমোট আবহাওয়াই যথেষ্ট।

ভ্যান্টিলেটর এবং জানালা পরিষ্কার রাখুন
আবহাওয়া চলাচলের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে জানালা কিংবা ভ্যান্টিলেটর। এসব জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না রাখলে এবং বাড়ির জানালা বড় না থাকলে দেখা যায় পর্যাপ্ত পরিমাণে বাতাস ঘরে প্রবেশ করে না। এর ফলে ঘরে বাসা বাঁধে অসুখ। তাই প্রতি সপ্তাহে সময় করে একটি নির্দিষ্ট দিনে ভ্যান্টেলেটর এবং জানালা পরিষ্কার রাখুন। এতে আপনার আশেপাশের পরিবেশ এবং আপনার ঘরের ভেতরের পরিবেশ থাকবে সুন্দর।
 
ধূমপান এড়িয়ে চলুন
ধূমপানের কারণে ঘরের ভেতরের আবহাওয়াতে পরিবর্তন আসে। এর নিকোটিন এবং ধোঁয়া শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে শিশুদের মানসিক অবস্থার ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। এছাড়া ঘরের ভেতরে একটি বাজে পরিবেশ সৃষ্টি করে। এমন আবহাওয়াতে ছোট শিশুরা এবং গর্ভবতী মায়েরা থাকে তাদের স্বাস্থ্যর সাথে সাথে মানসিক অবস্থাতেও মারাত্মক হানি ঘটে। তাই ঘরের ভেতরে ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।

ময়লা আবর্জনা
ময়লা আবর্জনা যাতে ঘরে জমে না থাকে তার প্রতি খেয়াল রাখুন। এটি আপনার ঘরের সৌন্দর্যের যেমন বারোটা বাজাবে তেমনই আপনার ঘরের অভ্যান্তরীণ আবহাওয়ারও। আর এই অপরিষ্কার আবহাওয়াতে যাদের শরীর সবার আগে খারাপ হয় তারা হচ্ছে বয়স্ক এবং শিশুরা। তাই ঘরের আবহাওয়ার পাশাপাশি পরিষ্কারের দিকেও নজর দিন।

প্রতিদিনের যত্ন
অনেকেই মনে করেন সপ্তাহে কিংবা মাসে একটু ঝেরে মুছে রাখলেই ঘরের পরিবেশ সুন্দর থাকবে। যা মোটেও ঠিক নয়। তাই প্রতিদিন আপনার খাবার টেবিল, চেয়ার, ফ্যান, জানাল এবং পর্দা ঝেরে মুছে রাখুন। এতে আপনি যেমন ভালো থাকবেন ঠিক তেমনই ভালো থাকবে আপনার আশেপাশের মানুষগুলো।

এইচএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।