শিশুর দুরন্তপনা সামলাবেন যেভাবে
শিশু মানেই দুরন্তপনা। ছোটাছুটি, এটা ভাঙা, ওটা ফেলে দেয়া এগুলো যেন শিশদের নিত্যদিনের কাজ। শিশুরা দুরন্ত হবেই। কিছু শিশু একটু বেশিই দুরন্ত থাকে। কিন্তু একারণে তাদের বকাঝকা বা মারধোর না করে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর সেজন্য চাই ধৈর্য্যধারণ এবং কিছু কৌশল।
শিশুর ঘরে কোনো হালকা রঙ ব্যবহার করুন। ঘরে অতিরিক্ত আসবাব বা খেলনা রাখবেন না। পর্দা যতটা সম্ভব খুলে রাখবেন যাতে সূর্যের আলো ঘরে প্রবেশ করতে পারে। সবকিছু নির্দিষ্ট জায়গায় গুছিয়ে রাখুন। সব সময় পরিষ্কার পরিপাটি করে রাখার চেষ্টা করবেন।
শিশুকে নিয়ে বিকাল বেলা হাঁটতে বেরোন। একটু বড় বাচ্চা হলে একা একাই খেলতে যেতে দিন। এতে করে ওর বাড়তি শক্তি নষ্ট হবে। কুসুম গরম পানিতে গোসল করান। পারলে পানিতে একটু বাথ সল্ট দিন।
শিশু রেগে গেলে শ্বাস টেনে ১ থেকে ১০ গুনতে বলুন। দেখবেন ওর রাগ পরে যাবে। শিশুকে কোনো বিষয় নিয়েই বেশি চাপ দেবেন না।
শিশুকে ক্রিয়েটিভ কাজে ব্যস্ত রাখুন। ক্রসওয়ার্ড পাজল, ছবি আঁকার বই কিনে দিন। সবসময় চেষ্টা করুন নতুন কিছু দিয়ে ভুলিয়ে রাখতে। সাধারণ শিশুদের তুলনায় হাইপার অ্যাক্টিভ বাচ্চার বেশি উদ্দীপনা প্রয়োজন। শিশুকে নিয়মিত মিনি-ম্যাসেজ দিন। আলতো করে হাত, কপাল বা চুলে হাত বুলিয়ে দিন।
শিশুর খাওয়া-দাওয়ার দিকে নজর দিন। খেয়াল রাখবেন খাবারে যেন যথেষ্ট প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট থাকে। সারা দিন প্রচুর পানি খাওয়াবেন।
শিশুর পুরো দিনটাকে নির্দিষ্ট রুটিনে বেঁধে দিন। দুরন্ত শিশুদের ক্ষেত্রে মিলিটারি অ্যাপ্রোচ খুবই কার্যকর। ঘুম থেকে ওঠা, খাওয়া, খেলা, হোমওয়ার্ক করা, ঘুমানো- সবকিছুর সময় নির্দিষ্ট করে দিন। এতে বাচ্চার যে কোনো কাজের প্রতি মনোসংযোগ বাড়বে।
একটু বড় শিশু, যারা মোটামুটি লিখতে শিখেছে নিয়মিত কিছু লেখার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ওর যা মন চায় তাই লিখতে দিন। এতে ওর মানসিক অবস্থাটা কাগজে লিখে ফেলবে। তারপর কাগজটা ছিঁড়ে ফেলতে বলুন। শিশুর রাগ, অস্থিরতা কমবে।
এইচএন/এমএস