গাজরের গুণগান


প্রকাশিত: ০৭:৩৬ এএম, ১৪ মার্চ ২০১৫

১. গাজরের রংটা দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি গাজরে আছে নানা ধরণের পুষ্টিগুণ। আমাদের দেহের সুস্থতায় গাজর অনেক বেশি কার্যকরী। বেশ সহজলভ্যও এই পুষ্টিকর সবজিটি। কাচা এবং রেঁধে দুইভাবেই খাওয়া যায় গাজর। চলুন জেনে নিই গাজরের উল্লেখযোগ্য কিছু উপকারিতা-

২. গাজরের জুসে অন্যান্য সকল জুসের তুলনায় ক্যালরি কম থাকে। তাই সকালে নাস্তায় কিংবা বিকেলে এক গ্লাস গাজরের জুস পান করেই দেখুন না। ওজন কতো দ্রুত কমে আসে।

৩. গাজরের জুস দেহের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে দিতে সক্ষম। প্রতিদিন মাত্র ১ গ্লাস গাজরের জুস পান করলে লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৪. গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই। সেই হিসেবে প্রতিদিন নিয়ম করে ১ গ্লাস গাজরের জুস দেহে ভিটামিন ই এর চাহিদা পূরণ করে এবং দেহে ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে।

৫. বয়স বেড়ে গেলে দেহের নানা অঙ্গে এবং বিশেষ করে হাড়ের জয়েন্টে ব্যআথা শুধু হয়। এই ধরণের ব্যাথা থেকে মুক্তি দিতে পারে গাজরের জুস।

৬. গাজরের জুসে থাকা ভিটামিন এ আমাদের চোখের সুরক্ষায় কাজ করে ও দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং দেহে ভিটামিন এ জনিত নানা সমস্যার সমাধান করে।

৭. গাজরের জুসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। প্রতিদিন গাজর খেলে আমাদের দেহের খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

৮. গাজর আমাদের দেহের টক্সিন দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী একটি খাদ্য। সেই সাথে এটি আমাদের পরিপাক ক্রিয়া উন্নত করতেও সহায়তা করে। প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস গাজরের জুস আমাদের হজমশক্তি বাড়ায়।

১০. গাজর আমাদের ত্বকের নানা ধরণের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন ১ গ্লাস গাজরের জুস আমাদের ত্বককে বয়সের ছাপ থেকে মুক্ত রাখে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং ব্রণের উপদ্রব কমায়।

১১. গাজরে আছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের কোষের ক্ষয় রোধ করে এবং ত্বককে সুস্থ রাখে।

১২. গাজরের বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ আমাদের দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করতে সহায়তা করে। সেকারণে নানা ধরণের রোগ থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারি।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।