শিশুর অন্ধকার ভীতি দূর করবেন যেভাবে


প্রকাশিত: ০৬:১৪ এএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬

শিশুদের হৃদয় হয়ে থাকে কোমল। শিশুকে আপনি যা শিক্ষা দেবেন তা সে নিজের মাঝে ধারণ করতে পারবে খুব সহজে। আর শিশুরা হয়ে থাকে অনুকরণ প্রিয়। তারা তাদের আশেপাশে যা কিছু ঘটে থাকে তা নিজের মাঝে যেমন ধারণ করতে পারে তেমনি সেই চরিত্রে নিজেকে বসাতে পারে। তাই শিশুর সামনে কিছু বলার আগে ভেবেচিন্তে বলা উচিৎ। তাকে বকা দেওয়ার ক্ষেত্রেও মাথায় রাখা উচিৎ আপনি তাকে যেভাবে বকা দিচ্ছেন তা সে আবার নিজের মাঝে অজান্তেই ধারণ করছে না তো? শিশুর মনে একটি সময় পর বাসা বাঁধতে পারে ভয়। বিভিন্ন কারণেই শিশু ভয় পেতে পারে। আর তার ভেতরে একটা হচ্ছে অন্ধকারভীতি। অন্ধকারে ভয় পাওয়া শিশুর সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। শিশুর এই অন্ধকারভীতি দূর করার জন্য মা-বাবার রয়েছে কিছু করণীয়।

একা না রাখা
একটু বড় হলেই মা বাবা শিশুকে আলাদা রুমে রাখার অভ্যাস গড়ার জন্য বোঝাতে থাকে। তাকে বলা হয় যে তুমি বড় হচ্ছো। এখনও একা রুমে না থাকতে পারলে সবাই তোমাকে নিয়ে উপহাস করবে। আর এক্ষেত্রে শিশুটি কিছুদিন কান্নাকাটি করলেও নিজের ভয়কে সে নিজের মাঝে রাখতে শিখে যায়। এতে তার মানসিক অবস্থার ওপর যেমন চাপ পড়ে তেমনি পরিবারের সাথেও দূরত্ব বাড়তে থাকে। তাই শিশুকে একা রুমে রাখার আগে ভালোভাবে বুঝে নিন সে অন্ধকারে ভয় পায় কি না।

শাস্তি দেওয়া
অনেক মা-বাবা সন্তানকে শাস্তি দেওয়ার জন্য একটা রুমে আঁটকে রাখে। ছোট ছোট ভুলগুলো যেন সে আর না কে সেই জন্যই তাকে এই শাস্তি দেওয়া হয়। এটি শিশুর মনে অন্ধকার ঘিরে এক বিশাল আতংকের সৃষ্টি করে। এটি নানাভাবে তার ছোট মনে আঁচড় কাটে। তাই এই কাজটি কখনও করবেন না।

মা-বাবার থেকে দূরে
যেসব মা-বাবা অথবা দুজনই চাকরিজীবী তাদের সন্তানদের মাঝে এই ভয় দেখা যায় খুব বেশি। প্রায় সময় শিশু বাসায় একা থাকে। তাই তাকে নিজের সাথে অন্ধকারকেও মানিয়ে নিতে হয়। প্রথম দিকে শিশু কিছুতেই তা করতে পারে না। একা রুমে সে কেবল ভয়ে কুঁকড়ে যায় না বরং মা বাবা দুজনের প্রতিই তার ঘৃণা জন্মায়। আর এই ভয় তাকে বড় কোন রোগেরও শিকার করতে পারে।

শিশুকে সব সময় ভালো একটি পরিবেশ দেওয়ার চেষ্টা করুন। তাকে ভয় দেখিয়ে নয়, ভালোবেসে কথা বলুন। শিশু যখন অন্ধকারে ভয় পাচ্ছে দেখছেন তখন তাকে সাহস যোগান। তাকে একা না ছেড়ে তার সঙ্গী হয়ে ভয় মোকাবেলা করতে সাহায্য করুন।

এইচএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।