দুরন্ত কৈশোর


প্রকাশিত: ০৭:১৬ এএম, ১০ ডিসেম্বর ২০১৬

মানুষের জীবনের সবচেয়ে মধুর সময় তার কৈশোর। এই সময়টাতেই ভিত্তি স্থাপন হয় আমাদের জীবনের। জীবনের লক্ষ্য থেকে শুরু করে প্রিয় মানুষের ভালোবাসা সব কিছুই যেন এই সময়ে এসে ধরা দেয় হাতের মুঠোয়। এই সময়ে আপনার দ্বারা ভুল করার সম্ভাবনা যেমন প্রবল তেমনি কাঁধে হাত রেখে আপনাকে সঠিক পথে এগিয়ে দেওয়ার মানুষ আছে। এই কৈশরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ বন্ধুবান্ধব আর পরিবারের ভূমিকা। কৈশোরের একটি ভুল যেমন আপনার জীবনকে নষ্ট করতে যথেষ্ট তেমনি আপনার প্রতিভাকে কাজে লাগানোরও উত্তম সময় এটি।

বয়ঃসন্ধিকাল
এই সময়ে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের মাঝেই কিছু পরিবর্তন আসে। মেয়েদের এই সময় কথা বলার ধরন, আচরণ এবং শারীরিক একটি পরিবর্তন আসে আমরা যাকে পিরিয়ড হিসেবে জানি। এই শারীরিক পরিবর্তনে মেয়েরা প্রায়ই ভয় পেয়ে যায়। তারা পরিবারের সাথে ভাগাভাগি না করে তা করে বন্ধুদের সাথে। ফলে তাদের এই সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণার পরিবর্তে জন্মায় ভুল ধারণা। ছেলেদের ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধিকালের একটি ভুল সিদ্ধান্ত তাদের নিয়ে যেতে পারে আসক্তির দুনিয়ায়। তাই বয়ঃসন্ধিকালে পরিবারের উচিৎ সবার আগে তার সন্তানকে আগলে রাখা। তাকে এটা অনুভব করানো যে আমরা তোমার পাশেই আছি।

বাবা মায়ের আচরণ
কৈশোরে ছেলে এবং মেয়েরা প্রায় উদাস কিংবা আনমনা থাকে। তাই বাবা এবং মা দুজনেরই উচিৎ সেই সময় তার সাথে স্বাভাবিক আচরণ করা। তার মনে প্রশ্ন যা আছে তার উত্তর বের করা। তাকে এটা বলা যে আমরা তোমার বন্ধু। তার সাথে রাগারাগি না করা। কোনোকিছু না বুঝলে তাকে তা সুন্দর করে বুঝিয়ে বলা।

ধর্মীয় শিক্ষা
পারিপার্শ্বিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা সন্তানকে দেয়া আবশ্যক। কৈশোরের এই সময় থেকে তাকে এই ধর্মীয় আচার-আচরণ না শেখালে তার মাঝে ধর্মীয় শ্রদ্ধাবোধ গড়ে উঠবেনা। তাই শিশুকে কৈশোরের এই সময় থেকেই ধর্মীয় শিক্ষা দিন।

প্রযুক্তি
প্রযুক্তি আমাদের জন্য যেমন আশীর্বাদ তেমনি ক্ষেত্রবিশেষে তা হয়ে দাঁড়ায় অভিশাপ। আর কৈশোরের এই সময়ে এই প্রযুক্তি আপনার সন্তানকে খুব সহজেই নষ্ট করে দিতে পারে। তাকে নিয়ে যেতে পার ভুল পথে। তাই সন্তানকে যতটা সম্ভব প্রযুক্তি থেকে দূরে রাখুন। এর পরিবর্তে হাতে তুলে দিন বই। পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন তার মাঝে।

শিশুরা কাদামাটির মতো। আপনি আপনার সন্তানকে এই কৈশোর থেকে যে শিক্ষা দেবেন সে সেই শিক্ষাই নিজের মাঝে ধারণ করবে। তাই সন্তানের এই কৈশোর সময়ে তাকে সময় দিন এবং তাকে বড় করে তুলুন সুন্দর পরিবেশে।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।