শীতের শুরুতে শিশুর ত্বকের যত্ন


প্রকাশিত: ১০:০৭ এএম, ২৮ নভেম্বর ২০১৬

শীতের শুরুতে শিশুর কোমল ত্বক জলীয়বাষ্প হারিয়ে ফেলার কারণে শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে ওঠে। তাই এ সময় শিশুদের ত্বকে লোশন ও ক্রিম লাগানো উচিত। তবে অনেকেই এসময় বড়দের ক্রিম, লোশন শিশুদেরও লাগিয়ে দেন, যা করা উচিত নয়। কারণ শিশুদের ত্বক বড়দের তুলনায় কোমল এবং স্পর্শকাতর। তাই লোশন, ক্রিম হতে হবে শিশুদের উপযোগী।

শীতে গোসলের পর শিশুদের সরিষার তেল লাগালে ঠান্ডা লাগে না এমন ধারণা অনেকের মধ্যে রয়েছে- তাই অনেকেই এসময় শিশুদের গোসলের পর জবজবে করে সরিষার তেল মাথায় দিয়ে দেন। অথচ খুব বেশি তেল লাগালে চুল ভেজা থাকে এবং এ থেকে ঠান্ডা লাগে। গোসলের পরপরই শিশুকে ভারি তোয়ালে দিয়ে জড়িয়ে নিন, দ্রুত জামা-কাপড় পরিয়ে দিন।

শীতে শিশুকে অতিরিক্ত গরম কাপড় পরানো উচিত নয়। এছাড়া এ ঋতুতে শিশুদের পরিচ্ছন্ন রাখতেই গোসল অপরিহার্য। তবে এ সময় হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে শিশুকে গোসল করাতে পারেন কিংবা খুব বেশি শীত পড়লে কুসুম গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে শরীর স্পঞ্জ করে দিতে পারেন।

গোসল শেষে ত্বক শুকিয়ে যাওয়ার আগেই শিশুর ত্বকে অলিভ অয়েল, বেবি অয়েল কিংবা ভালো কোনো লোশন লাগিয়ে দিন। দিনে অন্তত দুবার শরীরে এ ধরনের আদ্রতারক্ষক তেল বা লোশন লাগানো ভালো। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সময় লোশনের চেয়ে ক্রিম বা অয়েন্টমেন্টই ভালো। কেননা এগুলো বেশি আর্দ্র। আর শীতে ব্যবহারের জন্য শিশুদের ক্রিম, লোশন ময়েশ্চারাইজার যুক্ত হওয়া উচিত। শিশুদের ত্বকের খসখসে ভাব দূর করতে নারকেল তেলও ব্যবহার করতে পারেন।

এ ঋতুতে শিশুদের দীর্ঘ সময় ডায়পার পরিয়ে রাখা উচিত নয়। ভেজা ডায়পার থেকে শিশুদের ঠান্ডা লাগতে পারে কিংবা ডায়পার র‌্যাশ উঠতে পারে। নবজাতক শিশুদের শীতে কিছু সময় রোদে রাখুন। কারণ সূর্যের আলোতে ভিটামিন ডি আছে। ভিটামিন ডি শিশুদের ত্বকের জন্য খুবই ভালো। তবে বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত শিশুদের রোদে রাখা উচিত নয়।

একদিন পরপর শিশুর চুলের ত্বকে শ্যাম্পু লাগিয়ে দিন। শ্যাম্পু করার সময় মাথার ত্বক আঙুলের ডগা দিয়ে আলতো করে পরিষ্কার করে দিন, যাতে ধুলো-ময়লা জমে চুলে খুশকি জমতে না পারে।

এইচএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।