ইরানের ঐতিহ্যবাহী ফ্যাশন


প্রকাশিত: ০৬:১৩ এএম, ২৮ নভেম্বর ২০১৬

ইরান দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার পারস্য উপসাগরের তীরে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। প্রকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও এখানে মানুষের মাঝে আছে ফ্যাশন বৈচিত্র্য। অন্য দেশের সঙ্গে তাদের জীবনযাত্রায় আছে পার্থক্য। তাদের নিজস্বতা অনুযায়ী আছে ফ্যাশন। তাদের জীবনযাত্রা অর্থাৎ লাইফস্টাইল এবং ফ্যাশন নিয়ে জাগোনিউজের আজকের আয়োজন।

ইরানিদের খাদ্য অভ্যাস এসেছে মূলত পারসিয়ান নামক খাবার থেকে। এটির কারণ ১৯৩৪ থেকে এখন পর্যন্ত ইরানকে জানা হয় পারসিয়া খ্যাত খাবারের স্থান হিসেবে। এটি মূলত কারি জাতীয় খাবার। ইরানের অন্যতম খাবারের নাম দোলমা। এর পাশাপাশি ইয়োগার্ট অ্যান্ড মিন্ট সস নামের কারি জাতীয় খাবার তাদের পছন্দের তালিকায়। কাবাব মোরঘা, সিরাজী হালভা ইরানিদের পছন্দের খাবার।

বিয়ের ক্ষেত্রে তাদের সংস্কৃতিতে আছে দুটি ভাগ। প্রথম ভাগকে বলা হয় আকদ। এই অংশে কনে এবং বর একে অন্যকে জানে-শোনে। তাদের পরিবারের মাধ্যমে মুসলিম ধর্মানুযায়ী বিয়ে সম্পন্ন হয়। এর পরের অংশ জাশান-এ-আরোশী। এটি মূলত বিয়ের অনুষ্ঠান। যেখানে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের দাওয়াতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়।

পোশাকের ক্ষেত্রে ইরানিদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। যেমন হিজাব কিংবা তাদের ইসলামিক পোশাকের কোড তাদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক। মূলত এই ব্যাপারটি খুব সাধারণ। ছেলেদের ক্ষেত্রে টাইট শার্ট পরা নিষিদ্ধ। মেয়েদের ক্ষেত্রে মাথা এবং চুল থাকবে স্কার্ফ দিয়ে বাঁধা। যাতে তা অন্য কেউ দেখতে না পারে। এটি বাধ্যতামূলক যে ঢোলা কিছু দিয়ে শরীর সারাক্ষণ ঢেকে রাখতে হবে।

বর্তমানে অনেক ইরানি মেয়েই ওয়াস্টার্ন পোশাক পরছেন। তবে এর ওপরে লম্বা আস্তিন জাতীয় পোশাক পরা হয়ে থাকে। অনেকেই জানেন যে, ইরানি মেয়েদের কালো চাদর পরতে হয়। যেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বর্তমানের ইরানি মেয়েরা তাদের মাথা এবং চুল ঢেকে রাখার সঙ্গে সঙ্গে হাঁটু এবং হাত অবধি ঢাকা পোশাক পরেন। এটি কিছুটা কোটের মতো। তবে তারা পারিবারিক অনুষ্ঠানগুলোতে ওয়েস্টার্ন পরে থাকেন।

এইচএন/এনএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।