কেমন হবে মা-ছেলের সম্পর্ক
পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর ডাক মা। মায়ের কোনো তুলনা হয় না। সন্তানের জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা, তাকে দেখাশোনা, তাকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা- সব, মায়ের হাতেই হাতেখড়ি। মায়ের সঙ্গে সন্তানের এই সম্পর্ক সৃষ্টির শুরু থেকেই। মা হাজার ব্যস্ত থাকলেও সন্তানের জন্য থাকে তার অফুরন্ত সময়। মা তার সন্তানকে তার সর্বোচ্চ দিয়ে ভালোবাসেন। তবে সন্তান মাঝে মাঝে তার ব্যস্ততার জন্য মাকে সময় দিতে পারে না। মায়ের জন্য সন্তানের সময় হয়ে ওঠে না। পারিপার্শ্বিক কাজ, স্কুল, কলেজ আর বন্ধুবান্ধব মায়ের সেই অভাব আর সন্তানকে অনুভব করতে দেয় না। তবে কী সন্তানের ভালোবাসা মায়ের থেকে সত্যিই কমে যায়?
সন্তান ছেলে হোক কিংবা মেয়ে মায়ের এই বিষয় নিয়ে কখনো অভিযোগ থাকে না। সন্তান মায়ের কাছে সৃষ্টিকর্তার উপহার। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই ছেলে সন্তানের জগৎটা কিছুটা ভিন্ন হয়ে থাকে। অনেক সময় মায়ের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়, তার বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে। একটি সময় মা যখন ছিল তখন তার জীবনে দ্বিতীয় কোনো মানুষ ছিল না। কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মায়ের পাশাপাশি যুক্ত হয় বন্ধু-আত্মীয়সহ কাছের মানুষ। আর এতেই দূরত্ব বাড়ে। ছেলেদের সঙ্গে মায়ের খুনসুটি কিছুটা আগে থেকেই থাকে। মাকে ঘিরেই অনেকের থাকে দুনিয়া। হাজার ব্যস্ত থাকলেও মায়ের জন্য ছেলের মন পোড়েই। মায়ের জন্য তার ভালোবাসা হয়তো প্রকাশিত হতে পারে না, তবে তাই বলে ছেলের মনে মায়ের ভালোবাসা কমে না।
কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রমও দেখা যায়। ছেলেরা মায়ের চেয়ে বাবার সঙ্গে একটু বেশি খোলামেলাভাবে কথা বলতে পারে। যাতে মায়ের সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে যায়। মা’কে সে সবকিছু আর তখন খুলে বলতে চায় না। যার ফলে দূরত্ব আরো বিশাল হয়। তাদের মাঝে সম্পর্কের ফাটল ধরে।
কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, বাবা সারাদিন অফিসে থাকে। মা ছাড়া তার আর কোনো সঙ্গী থাকে না। তাই মাকেই সে অবলীলায় বলে ফেলে মনের সব কথা। যার ফলে বড় হয়েও মায়ের সঙ্গে সে বিনা দ্বিধায় যে কোনো বিষয়ে কথা বলতে পারে। মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারে।
ছেলে বড় হলে নানা কাজে তো ব্যস্ত থাকতে হয়ই, তাই বলে মায়ের জন্য কিছুটা সময় রাখতে ভুলবেন না। মায়ের সঙ্গে সারাদিনের ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো নিয়েই গল্প করুন, সম্ভব হলে তার কাজে টুকটাক সাহায্যও করুন। বাইরে থেকে ফেরার সময় মায়ের পছন্দের কিছু একটা কিনে নিয়ে যান। দেখবেন, মুখে কপট রাগ দেখালেও মনে মনে মা কতো খুশিই না হন!
এইচএন/পিআর