টেইলর সুইফটের ফ্যাশন
ছোটবেলায় স্কুল পালাতে ভালোবাসতেন তিনি। আর ভালোবাসতেন গান গাইতে। তিনি গিটারের প্রথম তিন কর্ড শেখেন এক কম্পিউটার মিস্ত্রির কাছে থেকে। এরপরেই তিনি তার প্রথম গান লাকি ইউ রচনা করেন। গানের ভুবনে যাত্রা শুরু তখন থেকেই। এতক্ষণ যার কথা বলছিলাম তিনি টেইলর সুইফট। তার জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে। তিনি একাধারে গায়িকা, গীতিকার, রেকর্ড প্রযোজক এবং অভিনেত্রী।
২০০৬ সালে এই লাখো তরুণের হৃদয় হরণকারী টেইলর সুইফট তার প্রথম গান টিম ম্যাকগ্র প্রকাশ করেন। এরপর প্রকাশিত হয় তার একক অ্যালবাম টেইলর সুইফট। তার ২০০৮ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত অ্যালবামগুলো সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ লাখ কপি বিক্রি হয়। যা তাকে নিলসেন সাউন্ডস্ক্যানারের জরিপ অনুসারে সে বছর সর্বোচ্চ বিক্রিত অ্যালবামের মার্কিন সঙ্গীত শিল্পীর মর্যাদা দেয়। টেইলর একাধারে যেমন সঙ্গীত অঙ্গনের তারকা তেমনই ফ্যাশন জগতেও তাকে অনুসরণ করেন লাখো তরুণী। তার ফ্যাশন তার পছন্দ এবং নানা লাইফস্টাইল নিয়ে এবারের জাগোনিউজের ভিনদেশি তারকা ফ্যাশনের আয়োজন।
টেইলর সুইফটের পছন্দের রঙ সাদা। তার পছন্দের খাবার চিজকেক। পছন্দের ছুটির দিন ক্রিসমাস। তিনি প্রচণ্ড যত্নশীল একজন মানুষ। ভয় পান গুবড়ে পোকাকে। তার জুতার সাইজ ৮.৫ এবং টেইলর সুইফট এর উচ্চতা ৫`-১০``। তার চোখের রঙ নীল এবং চুলের রঙ ব্রাউন।
টেইলর সুইফটের পছন্দের তালিকায় আছে এলিজাবেথ অ্যান্ড জ্যাম্পস ভ্যান ক্রপ ব্যান্ডের সোয়েটার। নোবোডি ডেনিম সিনার স্কিনি ব্যান্ডের জিন্স। এল.ক বিনিট কারলা ব্যান্ডের কাঁধ ব্যাগ। এটির ফিতা বেশ লম্বা এবং পার্স ব্যাগটি ছোট। হেলমাট ল্যান্থ কাটাফ স্লেভ কটন ক্যাশমেরি ব্যান্ডের টি-শার্ট। এটি দেখতে বুকের দিকটা কিছুটা চাপা এবং পেছনে ফিতা লাগানো। যার সাহায্য আপনি এটি বডি শেপ এ রাখতে পারেন।
জুতার মধ্যে তিনি পরেন স্টুয়ার্ট উইটজম্যান ব্যান্ডের বুট। এটি কিছুটা উঁচু এবং শক্ত তুলনামূলক। ইউ ও কিমচি ফ্লির্ট উইথ মি রিবেড ব্যান্ডের মাল্টিকালারের স্কার্ট। এবং মাইকেল কর্স এ্যাবেলা ব্যান্ডের সানগ্লাস এবং সুইডিশ হিল। আর হুডির ক্ষেত্রে তার পছন্দের ব্যান্ড মেলভিল্লি ক্যাসিডি।
ফোনের কাভারের ক্ষেত্রে তিনি ব্যবহার করেন বেনডোলিয়ার সারা ব্ল্যাক লেদার এন্ড গোল্ড ফোন কভার। চুলের ক্ষেত্রে তার পছন্দের কালার লাইট ব্রাউন এবং তিনি মাঝে মাঝে পলিটেইল করে থাকেন। তার সঙ্গে সঙ্গে চুলের বব কাট, চপি ব্যাঙ্কস তার পছন্দের চুলের কাট।
এইচএন/এমএস