ঘড়ি এলো কেমন করে


প্রকাশিত: ০৯:২৩ এএম, ১০ নভেম্বর ২০১৬

স্মার্ট লুকের অন্যতম অংশ হচ্ছে ঘড়ি। বাজারে এখন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ও দামের ঘড়ি আছে, যা আপনার ব্যক্তিত্ব এবং আপনার পছন্দকে তুলে ধরে। হাতে একটি ঘড়ি থেকে আপনি যেমন সময় দেখতে পারছেন তেমনি নিজেকে ফ্যাশনের আয়ত্বে রাখতে পারছেন।

যাকে নিয়ে এতো আয়োজন সেই ঘড়ি এলো কোথা থেকে? ঠিক কে ঘড়ি আবিষ্কার করেছিলো তা জানা না গেলেও এটি জানা যায় যে, আনুমানিক সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে মিসর ও ব্যাবালিনে এর উৎপত্তি। মজার কথা হচ্ছে, এটি আজো টিকে আছে। তবে এতে নেই কোনো টিক টিক শব্দ। কারণ এটি সেকেন্ড এবং মিনিটের কাঁটাবিহীন। আর এই ঘড়ি নামটি এসেছে লাতিন শব্দ ক্লক্কা থেকে আজকের ক্লল, যা এসেছিলো এখন থেকে ৭০০ বছর আগে।

একদম প্রথমে যার মাধ্যমে ঘড়ির যাত্রা শুরু তা ছিলো সূর্য ঘড়ি। এর জন্য মানুষ একটা লাঠি পুঁতে রাখতো একটা খালি জায়গায়। আর তার পাশে গোল করে একে রাখতো চক্র আর তাতে নানা সংকেত, যা দেখে তাড়া বুঝতে পারতো সময় কত। কিন্তু রাতের বেলা এই পদ্ধতি অবলম্বন করা গেলেও রাতে সৃষ্টি হতো সমস্যা। তাই চোখ যেতো আকাশে। খুব খোঁজাখুঁজি করে অবশেষে পাওয়া গেলো সেই তারা, যা দেখতে ইংরেজি অক্ষর W এর মতো। এর নাম ছিলো তারা ঘড়ি। যা প্রথম আবিষ্কার করে জার্মানিরা।

খ্রিস্টপূর্ব ১৪০০ সাল নাগাদ মিশরীয়রা আবিষ্কার করে পানি ঘড়ি। এটি একটি ফানেলে পানি তার সাথে সংযুক্ত পাইপ দিয়ে সময় মাপা হতো। এরপরে আসে বালু ঘড়ি। প্রায় ১২’শ বছর আগে এর প্রচলন শুরু হয়। এর কিছুদিন পর চীনে আবিষ্কার হয় মোমঘড়ি। যা একমাত্র রাতের জন্য তৈরি করা হয়। তবে যন্ত্র ঘড়ি প্রথম কে আবিষ্কার করে তা আজো অজানা। তবে প্রথম যন্ত্র ঘড়ি জীবন পায় আর্কিমিডিসের হাতে। ১২৮৮ সালে এই ঘড়ি তৈরি হয়েছিলো লন্ডনে। তবে আমেরিকার ফিউজ স্পন্সর প্রথম হাত ঘড়ি তৈরি করেন।

এইচএন/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।