স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলবেন যেভাবে


প্রকাশিত: ০৬:০৮ এএম, ০৬ নভেম্বর ২০১৬

খেতে পছন্দ করেন না -এমন মানুষ পাওয়া কঠিন। আড্ডার স্থলে কিংবা পড়ার সময়, দূরের যাত্রায়, দাওয়াতে, প্রিয় মানুষের সাথে -কোথায় নেই খাওয়া-দাওয়া? আমাদের যতই শরীর বা মন খারাপ থাকুক -প্রিয় খাবারের নাম শুনলে জিহ্বায় জল আসবেই।

খাওয়া-দাওয়া আমাদের শরীরের জন্য সবচেয়ে জরুরি। আপনি সারাদিনে কত কাজ করছেন, কী করছেন, কতখানি শ্রম দিচ্ছেন কিংবা দিতে পারবেন -তা নির্ভর করে আপনার কর্মদক্ষতার ওপর। আর কাজ করার শক্তি আসে এই খাবার থেকে। খাবার শরীর থেকে যে ক্যালোরি পায়, তা সে শক্তিতে রূপান্তরিত করে।

এই খাওয়াই আপনার জন্য হতে পারে বিপদের সংকেত! আপনি যদি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার না খান, তবে তা হবে শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আপনার শরীরে বাসা বাঁধবে নানা রোগ -তা হতে পারে ডায়াবেটিক, ক্যান্সারসহ নানা প্রাণঘাতী রোগ। তাই সুস্থ থাকার জন্য চাই পরিমাণে সঠিক এবং শরীরের জন্য ভালো -এমন খাবারে খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা।

আমাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় কী থাকছে -তা জানা প্রথমে জরুরি। খাবারের তালিকায় আমিষ থেকে শুরু করে শর্করা, চর্বি, ভিটামিন -এসব থাকা জরুরি। সকালের খাবারে কমপক্ষে ৭ থেকে ১০ গ্রাম আঁশযুক্ত খাবার থাকা জরুরি। তাই সকালের নাস্তায় রাখুন দুই থেকে তিনটি পাতলা আটার রুটি, একটি সেদ্ধ ডিম, কিছু সবুজ শাক-সবজি।

দুপুরের খাবারে রাখুন আমিষ এবং খানিকটা চর্বিজাতীয় খাবার। যেহেতু দুপুরে কাজে বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়, তাই সেই সময়ে কিছুটা চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। বিকেলের দিকে আপনি খেতে পারেন বিস্কুট, বাদামসহ উচ্চ ক্যালোরি বার ফুড। রাতের খাবার যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব খাওয়া উচিৎ। আর তাতে অবশ্যই আমিষ, কিছুটা শর্করা এবং ভিটামিনের সমন্বয় থাকলে ভালো হয়।

উচ্চ মাত্রার চর্বিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা ভালো। চিনি এবং চিনিযুক্ত খাবার, শরবত, মিষ্টি, কোমল পানি ও বাইরের ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন। রাস্তার পাশের খোলা আচার খাবেন না। এতে সৃষ্টি হতে পারে বদহজম, পেটে ব্যথা, আলসারসহ নানা রোগ। সেই ক্ষেত্রে আঁশযুক্ত খাবার বেছে নিন যেমন সেদ্ধ চাল, ভুট্টা, আটার তৈরি খাবার।

বাইরের ফাস্টফুড জাতীয় খাবার মুখরোচক হলেও এটি আপনার ওজন এবং রক্তচাপ বৃদ্ধি করে থাকে। তাই বাইরের খাবার পরিহার করুন। সেই ক্ষেত্রে আপনি বাসায় মিল্ক সেক, কেক, চিকেন ফ্রাই বানাতে পারেন এবং পরিবারের সবার সাথে উপভোগ করতে পারেন।

খাদ্যাভ্যাস অবশ্য দেশে দেশে নানাভাবে পরিবর্তিত হয়। পশ্চিমা দেশগুলোতে শর্করা জাতীয় খাবারের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। মেক্সিকোর মানুষেরা নাশতা হিসেবে খেয়ে থাকেন তাজা ফল ও শাক-সবজি। আফ্রিকার কয়েকটি দেশে বাদাম এবং শর্করা জাতীয় খাবারকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। যা স্বাস্থ্যর জন্য খুবই জরুরি। তাই খাদ্যতালিকায় যেকোনো একটি বেলায় মাছ রাখুন।

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের সাথে সাথে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। আর বাইরের খাবার পরিহার করে বাড়িতে বানান। খাবার আধা ঘণ্টা আগে পানি খেয়ে নিন এবং খাবারের পর দুই থেকে চার ঘণ্টা হাঁটাহাঁটি করুন কিংবা বসে থাকুন। নিয়মিত ফল খান এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।