নারীদের ফ্যাশনে জ্যাকেট


প্রকাশিত: ০৬:৪২ এএম, ৩০ অক্টোবর ২০১৬

ফ্যাশনপ্রিয় নারীদের কাছে পছন্দের নাম এখন জ্যাকেট। গরমেও জ্যাকেট, শ্রাগ, কটি বা পঞ্চ- এসব দেদার পরছেন তরুণীরা। যে কোনো আবহাওয়ায় পরা যাচ্ছে, কারণ এগুলো তৈরি হচ্ছে জর্জেট, শিফন, নিট বা গেঞ্জি কাপড়ে, যা এ সময়ে পরার উপযোগী। সামনে খোলা, বোতাম ছাড়া এই পোশাকগুলো ঢিলেঢালা বলে অস্বস্তি বোধ হওয়ারও কোনো কারণ নেই। এর নিচে ইনার হিসেবে কখনো থাকছে টি-শার্ট, শার্ট, ফতুয়া অথবা কামিজ। হাফ স্লিভ, ফুল স্লিভ, স্লিভলেস- সব রকম হাতাই চলছে। হাতার কাটেও দেখা যাচ্ছে বৈচিত্র্য। ছোট হাতার মধ্যে কুঁচি দেওয়া ও ঘটিহাতা খুব চলছে। শ্রাগ আর কটিতে সামনে-পেছনে অসমান কাটও এখন চলছে।

হাল ফ্যাশনে পাতলা কাপড়ের তৈরি জ্যাকেট বা কটি খুব চলছে। আর এটি বানানোও সহজ বলে তরুণীরা নিজের পছন্দের কাপড় কিনে বানিয়ে নিতে পারেন। লম্বা গাউন বা ম্যাক্সি ড্রেসের সঙ্গে কোমর অবধি উচ্চতার জ্যাকেট বা কটি পরার ফ্যাশনও এখন চোখে পড়ছে। এর সামনে যেহেতু খোলা থাকে, তাই কোমরে সুন্দর কোনো বেল্ট পরলেও ভালো লাগে।

জিনসের প্যান্ট আর টপের সঙ্গে যেমন এটি মানায়, তেমন ভালো লাগে স্কার্ট টপের সঙ্গেও। ইনার বা ভেতরের পোশাকটি প্রিন্টের হলে তার ওপরের জ্যাকেট বা কটি এক রঙের হলেই ভালো দেখাবে। আর প্রিন্টের জ্যাকেট পরলে তার থেকে যে কোনো একটি রঙ বেছে নিয়ে সেই রঙের ইনার বেছে নিন। কর্মস্থল বা ক্লাসে গেঞ্জি বা জর্জেট কাপড়ের টপ পরা যেতে পারে। কোনো দাওয়াতে হাফ সিল্ক অথবা নেটের জ্যাকেট পরতে পারেন।

ফ্রক কাটের কামিজ বা কিশোরীদের ফ্রকের সঙ্গে হাফহাতা জ্যাকেট বেশ মানিয়ে যায়। অনেকে শ্রাগের আদলে একটু বেশি ঝুল দিয়েও এ ধরনের পোশাক বানিয়ে নিচ্ছেন, যা পরা হচ্ছে কামিজ বা ম্যাক্সি ড্রেসের ওপরে। এমন পোশাক পরে অনায়াসেই যোগ দেওয়া যেতে পারে যে কোনো জমকালো দাওয়াত বা ঘরোয়া আড্ডায়। স্লিভলেস পোশাক পরতে যারা তেমন স্বচ্ছন্দ নন, তারা পোশাকের ওপর পরে ফেলতে পারেন পাতলা জ্যাকেট।

এইচএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।