দেয়াল সুরক্ষিত রাখতে করণীয়
একটি বাড়ি কেবল ইট, বালুর সংমিশ্রণ না। এতে থাকে ভালোবাসা আর একটু একটু করে জমানো স্মৃতি। যা আপনার স্মৃতির এ্যালবামে কিংবা আপনার মনের কোণে লুকিয়ে থাকে। কিন্তু এই ঘরেই যদি দেখা দেয় নোনা, আপনার স্মৃতি জড়িত দেয়াল হয়ে পরে ড্যাম। তাহলে তাকে ঘিরে স্মৃতিরা কীভাবে ভিড় করবে? আর একটি বাড়ি কেবল বাড়ি হয়ে থাকে না। এটি হয়ে থাকে একটি মানুষের রুচি এবং ব্যক্তিত্বের পরিচয়ের অংশ। আপনি কি এখনো সেকালে আছেন না যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সামনে এগিয়ে গিয়েছেন। দেয়ালে ড্যাম নানা কারণে পড়তে পারে। কখনো আপনার নিজের জন্য কখনো আবার তা হয়ে থাকে প্রাকৃতিগত কারণে।
বর্ষায়
বর্ষায় দেয়ালে ড্যাম বেশি পরে। চারিদিকের জমা পানি দেয়াল নিজে শুষে নেয়। ফলে দেখা দেয় ড্যাম। তাছাড়া অনেক বাড়িতে জানালার উপরে ছাউনি ঠিকমতো দেয়া হয় না। ফলে বৃষ্টির পানির ঝাপটা আপনার ঘরে প্রবেশ করে এবং ঘরের দেয়ালকে স্যাঁতস্যাঁতে বানিয়ে ফেলে।
লাইনে লিক
তাছাড়া পানির লাইনে লিকেজ থাকলে তা দেয়াল ড্যামেজের কারণ হয়ে থাকে। অন্যদিকে অনেকে রুমে পর্যাপ্ত আলো বাতাস ঢোকার ব্যবস্থা রাখে না। ফলে দেখা যায় ঘরে একটি গুমোট পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আর তাতে অল্প অল্প করে জমতে শুরু করেছে পানি আর যার ফলাফল ঘরের দেয়াল ড্যাম।
রান্না ঘরের আর্দ্রতা
অনেক সময় আমরা আমাদেফ রান্না করার ঘরে লম্বা সময় ঘরে এসি চালাই। যা ঘরের দেয়াল ড্যাম হওয়ার কারণ। তাই সারাক্ষণ এসি না চালিয়ে ঘণ্টা দুয়েক ফ্যান আর জানালা খুলে দেওয়া উচিৎ। এতে ঘরে আলো প্রবেশ করবে আর এসি থেকে জমা দেয়ালে বিন্দু আকারের পানি শুকিয়ে যাবে। যা আপনার ঘরের দেয়ালকে রাখবে পানি শূন্য আর ড্যাম থেকে মুক্ত।
ছোটদের থেকে
এছাড়া যাদের বাড়িতে ছোট শিশুরা আছে তাদের খেয়াল রাখা উচিৎ সোফা সেট, আলমারি, খাটের চাদরের ওপর। বাচ্চারা প্রায়ই দেখা যায় পানি সোফার ভারি কাপরের ওপর ফেলে দেয় আর কিংবা বিছানার চাদরে। আর এর থেকে পানি বাতাসের সাহায্যে শুকনো স্থান যেমন দেয়ালে জমা হয়। আর ধীরে ধীরে দেয়াল ড্যাম হয়ে নোনা পরে আর দেখা যায় জায়গায় জায়গায় চলটা উঠে যাওয়া।
এইচএন/এমএস