লিপস্টিক দেয়ার নিয়ম
ত্বকের যেমন যত্ন নেয়া হয় একইভাবে ঠোঁটেরও আলাদা যত্ন নেওয়া জরুরি। নিয়ম করে ঠোঁটে লিপজেল লাগান, ময়েসচারাইজার ব্যবহার ইত্যাদি। তবে এই যত্নের সাথে সাথে লিপস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম মাথায় রাখা জরুরি। যা আপনার ঠোঁটের ত্বককে রাখবে সুস্থ আর ঠোঁটের হাসি ধরে রাখবে সবসময়।
সামঞ্জস্যতা বজায় রাখা
মেকআপের ক্ষেত্রে চেহারার যে কোনো একটি অংশকে ফুটিয়ে তোলা উচিত। তাই যদি ঠোঁটে গাঢ় রংয়ের লিপস্টিক লাগাতে চান হবে অবশ্যই মুখ এবং চোখের মেকআপ হালকা করতে হবে। অন্যদিকে চোখে গাঢ় মেকআপ করলে ঠোঁটে হালকা রংয়ের লিপস্টিক ব্যবহার করতে হবে।
বাড়তি চকচকে ভাব এরিয়ে চলুন
ঠোঁটে আলগা চকচকে উপাদানের ব্যবহার দেখতে বাজে লাগে। লিপস্টিকের ময়েশ্চারাইজার এবং এতে ব্যবহৃত উপাদানের কারণে ঠোঁটে বাড়তি চকচকেভাব থাকলে তা দেখতে বেশ ভালো লাগে। কিন্তু ঠোঁটে মেটালিক বা জরির মতো ‘শিমার’ ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত।
সঠিক রং বাছাই
ত্বকের রংয়ের সঙ্গে মানিয়ে লিপস্টিক বাছাই করা উচিত। একই রংয়ের লিপস্টিক একেক ত্বকে দেখতে ভিন্ন লাগতে পারে। তাই পছন্দের রং বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কয়েকটি রং বাছাই করে তবেই মানানসই লিপস্টিক বাছাই করতে হবে।
প্রাইমার ব্যবহার
লিপস্টিক দীর্ঘস্থায়ী করতে প্রাইমার ব্যবহার করতে হবে। মেইকআপের শুরুতে যেমন ত্বকে প্রাইমার ব্যবহার করতে হয় একইভাবে ঠোঁটেও প্রাইমার ব্যবহার করা উচিত। এতে লিপস্টিকের রং ফুটে উঠবে এবং অনেকক্ষণ স্থায়ী হবে।
লিপ লাইনার ব্যবহার
ঠোঁটের গঠন নিখুঁত করে তুলতে লিপ লাইনার ব্যবহার বেশ জরুরি। ঠোঁট মোটা বা চিকন দেখানোর জন্য লিপ লাইনার বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে লিপস্টিকের রংয়ের সঙ্গে লিপ লাইনারের রং না মিললে দেখতে উল্টা বাজে দেখাবে।
ঠোঁটের মাঝামাঝি থেকে শুরু করতে হবে
ঠোঁটের মাঝখান থেকে লিপস্টিক লাগানো শুরু করতে হবে। এতে লিপস্টিক ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকবে। তাছাড়া গাঢ় লিপস্টিকের ক্ষেত্রে একটি ব্রাশ দিয়ে ঠোঁটে লাগালে তা আরও নিখুঁত হবে।
ঠোঁটের চারপাশ হালকা করে নিন
ঠোঁটের চারপাশের রেখা বেশি নিখুঁত হলে দেখতে অস্বাভাবিক লাগতে পারে। এক্ষেত্রে চারপাশে খানিকটা হালকা স্মাজ করে নিলে দেখতে ভালো দেখাবে।
এইচএন/এমএস