বাহারি ওড়নার খোঁজখবর


প্রকাশিত: ০৬:৪৫ এএম, ০৯ অক্টোবর ২০১৬

হালের ফ্যাশনে ওড়না এখন বিশেষভাবে সমাদৃত। একটি নজরকাড়া ওড়না পোশাকে এনে দেয় নতুনত্ব এবং ভিন্নতা। একসময় শুধু রঙটা মিলিয়ে পরে নিলেই শেষ হয়ে যেত ওড়নার প্রয়োজনীয়তা। এখন আর ব্যাপারটা তেমন নেই, ওড়না দিয়েই নিজেকে করে তোলা যায় ফ্যাশনেবল। ফ্যাশনের অনুষঙ্গ হিসেবে রঙ-বেরঙের ওড়না এখন খুব ব্যবহার হচ্ছে। নানা রঙের বাহার ওড়নায় তৈরি করে এক নান্দনিক সৌন্দর্য। যেকোনো সাদামাটা সাজে পরিপূর্ণতা এনে দিতে পারে রঙিন ওড়না।

একই ওড়নায় নানা রঙের ব্যবহার এখন বেশ জনপ্রিয়। কামিজের সঙ্গে মিলিয়ে নয় বরং ওড়নার সঙ্গে মিলিয়ে কামিজ পরার চলটা ফিরে এসেছে। টাইডাই বাটিকের পাশাপাশি সুতি, খাদি, চুণ্ডি, সিল্ক, মসলিন, নানা রকমের জর্জেট সেই সঙ্গে তাঁতের ওড়না এখন বাজার জুড়ে বিস্তার।

নানা রঙের শেডের ওড়না যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে একই ওড়নায় মাল্টিকালারের সমাবেশ। এর সুবিধা হচ্ছে, একটি ওড়না দু-তিনটি পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে পরা যায় সহজেই। শেডের ওড়নার চাহিদাও রয়েছে বেশ।

এখন টাইডাই করা ওড়না ফ্যাশনে বেশ জনপ্রিয়। দুই বা তিন রঙে টাইডাই করা হয়। জর্জেট ও সুতি দুটো কাপড়েই টাইডাই করা ওড়না হচ্ছে। এছাড়াও ওড়নায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের লেসের ব্যবহার। অনেকে চওড়া বা সরু লেস ডিজাইন করে ওড়নায় বসান। মসলিন ও জর্জেটের ওপর সাধারণত লেস লাগানো হয়। সাধারণত জমকালো পোশাকের সঙ্গে এই ওড়নাগুলো ব্যবহার করা হয়।

নানা রকমের পাড় ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ওড়নায়। সুতি, কুরুশের কাজ, নেটের কাজ করা পাড়ও দেখা যায়। অ্যামব্রয়ডারি করা ওড়নাও পাওয়া যায়। জর্জেট ও সুতির ওড়নাতে অ্যামব্রয়ডারি বেশি দেখা যায়। একরঙা সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে রঙ মিলিয়ে একটি কাতানের ওড়না পোশাকে যোগ করবে অভিনবত্ব।

বিভিন্ন মার্কেট ছাড়াও বড় বড় বুটিক হাউজগুলোতে রয়েছে ওড়নার বিশাল সম্ভার। কাপড় ও কারুকাজ অনুসারে ওড়নার দাম পড়বে। সুতি একরঙা ও হালকা কাজের ওড়না পাওয়া যাবে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকায়, পাকিস্তানি জর্জেটের হাতের কাজের ওড়না ৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা, খাদি ১২০ থেকে ৩০০ টাকা, হ্যান্ড প্রিন্ট ৩৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বলাকা সিল্ক ৩০০ থেকে ১০০০ টাকা, শার্টনি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, মসলিন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, সিল্ক শিফন ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা, সিল্কের ছোট ওড়না ২৫০ থেকে ৬০০ টাকা, সুতি স্কার্ফ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, মাফলার ওড়না ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, জুট কটন ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা, সিল্ক ৪৫০ থেকে ১৫০০ টাকা, চিনন ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, ক্রেপ জর্জেট ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, বাটিক ১২০ থেকে ৪০০ টাকা, সুতি টাইডাই ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, সিল্ক টাইডাই ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, স্প্রে ৪০০ থেকে ১২০০ টাকা, সিল্ক কোঁকড়ানো ওড়না ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা, জামদানি ২০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

এইচএন/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।