শিশু যদি বায়না ধরে


প্রকাশিত: ০৩:৫৫ এএম, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

৪-৫ বছরের শিশু প্রবেশ করে নতুন এক জগতে। তখন নতুন জিনিস চিনতে শেখা, নতুনের প্রতি আগ্রহ খুব স্বাভাবিক। যা দেখে তাই যেন তার চাই। বুঝতে শেখার সঙ্গে সঙ্গে শিশুর বায়না ধরার প্রবণতাও কমে আসে। আবার অনেক সময় চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সব পেয়ে গেলে সেই অভ্যাস পরবর্তী জীবনেও প্রভাব ফেলে। তাই মা-বাবাকে আগে থেকেই সচেতন থাকতে হবে।

১. ছোটবেলা থেকেই শিশুর ব্যক্তিত্ব গঠনে সাহায্য করুন। কোনটা কেন তার জন্য নয় তা বুঝিয়ে বলুন। ছেলেবেলা থেকেই সঠিক নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে শিশুকে লালন করুন। নিজেরাও সেইভাবে চলুন যেন শিশু আপনার কাছ থেকে শিখতে পারে। ঘরে ও বাইরে ব্যবহার কেমন হবে তাও শিশুকে শিক্ষা দিন যেন সে নিজেকে পরিস্থিতি ও পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারে।

২. অহেতুক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেবেন না। যার জন্য শিশুর বায়না, তা দেয়া না গেলে তার পরিবর্তে অন্য কিছু দেয়ার  প্রতিশ্রুতি দিল এবং তা রক্ষা করুন। এমন একটা খেলনার জন্য বায়না ধরল যা দেয়া যাবে না। তখন তার বদলে বই, রঙ কিনে দিন, উৎসাহিত করুন সৃজনশীল কাজে।

৩. সব ব্যাপারে না বলাটাও উচিত নয়। অনেকে ভাবেন শিশুর কথা মেনে নিলে তাদের আসকারা দেয়া হয়, যা মোটেও ঠিক নয়। হ্যাঁ বলে কিংবা ইতিবাচক কথা বলেই শিশুদের বোঝানো সম্ভব।

৪. শিশুদের রয়েছে স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব। লোক সমাগমে শিশুর বায়না এড়াতে তাকে অপমান করবেন না। মারবেন না। প্রয়োজনে একা ডেকে এনে কথা বলুন। তুমি খুব দুষ্ট, তোমার চেয়ে ও খুব ভালো, এসব বলা উচিত নয়। এতে শিশুর মনে দ্বিধাদ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। মানসিক চাপ বাড়ে। গল্পের মাধ্যমে ভালো-খারাপ আর তার সুফল-কুফল শিশুদের সামনে তুলে ধরুন। বায়না পূরণ সম্ভব হলে অবশ্যই তা দিন।

৫. মায়েদের একটি কমন অভিযোগ হল- শিশু খেতে চায় না। কিংবা যা খেলে কোনো কাজ হয় না তাই খাওয়ার জেদ ধরে। এক্ষেত্রে জোর করা মোটেই উচিত নয়। চকোলেট, নানারকম জাঙ্কফুড এড়িয়ে যান কৌশলে। তাদের ফলমূল খেতে দিন।

৬. যেসব জায়গায় গেলে সন্তানের সঙ্গে বায়না নিয়ে বিরোধ ঘটে; সেসব জায়গায় শিশুকে নেয়া বাদ দিন।

৭. মানসিক বিকাশের সময় এটাই। তাই তার আবদারই নয়, সব ব্যাপারে বিকশিত হওয়ার সুযোগ দিন। সে নিজেই বুঝতে পারবে ভালো-মন্দ। গান, কবিতা শিখতে আর বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিন। খেলার মতো করে ছড়ার বই পড়তে দিন। পড়া নিয়ে জোরাজুরি করা থেকে বিরত থাকুন।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।