ফেসিয়ালের পর যে কাজগুলো করবেন না


প্রকাশিত: ০৮:৩০ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

রূপচর্চার একটি অপরিহার্য উপায় হচ্ছে ফেসিয়াল। ত্বক সুস্থ ও সুন্দর রাখতে ফেসিয়াল এক অনন্য পদ্ধতি। তবে অনেক সময় ফেসিয়াল করার পর ত্বক নাজুক হয়ে পড়তে পারে। তাই কিছু কাজ আছে যা ফেসিয়ালের পরে না করাই ভালো। জেনে নিন ফেসিয়াল করার পর কী নিয়ম মেনে চললে ত্বকের ক্ষতি হবে না। ত্বক থাকবে সতেজ, প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল।

ত্বক যদি পাতলা ও গায়ের রং ফর্সা হয়, তাহলে ফেসিয়ালের পর পরই ম্যাসাজ করলে ত্বকে অনেক সময় লালচে মতো দাগ পড়ার আশঙ্কা থাকে। ফেসিয়াল করার তিন দিনের মধ্যে কোনো ধরনের ম্যাসাজ করবেন না।

সবজি বা ফলের খোসা (কমলালেবু) দিয়ে বানানো মাস্ক লাগাবেন না। অধিকাংশ খোসাতে থাকে আলফা হাইড্রক্সি এসিড, সঙ্গে ভিটামিন-এ, এই উপাদানগুলো ত্বকে লালচে ভাব আনে। তাই ফেসিয়াল করার পর দু-তিন দিন মাস্ক লাগাবেন না।

অনেকেই স্টিম বাথ নেন; কিন্তু ফেসিয়াল করার পর পরই স্টিম বাথ করা যাবে না। কেননা ত্বকের উজ্জ্বলতা আনার জন্য অনেক ফেসিয়ালেই স্টিম ব্যবহার করা হয়। তাই আবার স্টিম বাথ নিলে ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যেতে পারে।

ফেসিয়াল করার সময় যদি ব্লিচ ক্রিম ব্যবহার করা হয়, তবে পরবর্তী ১২ ঘণ্টার মধ্যে সাবান বা ফেসওয়াশ মুখে ব্যবহার করা যাবে না। কারণ ব্লিচ ক্রিমের সঙ্গে সাবান বা ফেসওয়াশ মিশে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। এ ছাড়া ব্লিচ ক্রিম মুখের লোমের রং পরিবর্তন করে; তাই সাবান ব্যবহার করলে রংটা লোমে বসবে না।

ফেসিয়ালের পর ত্বক নাজুক থাকে, তাই সূর্যের তাপ থেকে ত্বককে রক্ষা করা জরুরি। ফেসিয়াল করার সময় ব্যবহৃত স্ক্রাবারের মধ্যে দানা থাকে, যার ফলে ত্বকে এক ধরনের অরক্ষিত পর্দার সৃষ্টি হয়। এই পর্দা সূর্যের তাপে সহজে পুড়ে যায়।

ফেসিয়াল করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মেকআপ ব্যবহার না করাই ভালো। মেকআপের কারণে চুলকানি বা প্রদাহ দেখা দিতে পারে। যেসব প্রসাধনীতে কৃত্রিম রং বা সুগন্ধি দেওয়া থাকে সেগুলো ফেসিয়ালের পর একদমই ব্যবহার করা উচিত নয়।

ফেসিয়ালের পর ত্বক অনেক বেশি সংবেদনশীল থাকে। তাই যখনই মুখে হাত দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে, হাত ভালো করে ধুয়ে নিন।

অনেকের ত্বকে ফেসিয়াল করার পর পরই ব্রণ দেখা দেয়। এ সময় ত্বক অনেক সতেজ থাকে। ফলে ব্রণ খুঁটলে দাগ বসে যায়। যদি ব্রণ উঠেই যায়, তাহলে খুঁটবেন না, দ্রুত সেরে যাবে।

এইচএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।