ব্রেকআপের সঠিক সময় কখন?


প্রকাশিত: ০৫:৪১ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ভালোবাসা যখন আসে জীবন তখন রঙ্গিন হয়ে উঠে। আশেপাশের সব ভালো না লাগা ব্যপারগুলোও ভালোলাগতে শুরু করে। সম্পর্কের শুরুতে একজন আরেকজনের প্রতি থাকে দুর্বল। তার সাথে অল্প অল্প করে জন্ম নেয় তাদের মাঝে বিশ্বাস। তবে এই বিশ্বাসের ইতি ঘটে যখন আপনার অপর প্রান্তে থাকা মানুষটি থেকে ভালোবাসা হারিয়ে যেতে থাকে। একসময় হয়তো বেঁচে থাকে কেবল একতরফা সম্পর্ক। তখনই বুঝে নিন এবার আপনার নিজেকে গুঁটিয়ে নেবার পালা।

বর্তমান থেকে অতীতে বেশি বসবাস :
অতীত থাকবে না এমন হতেই পারে না। মানুষের জীবন অতীতের উপর অনেকখানি নির্ভরশীল। অতীতের থেকে পাওয়া শিক্ষা আমাদের সামনে এগোতে অনেক সাহায্য করে। ভালোবাসার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। আপনার আগের সম্পর্ক যে কারণগুলোর জন্য আপনাকে কষ্ট দিত তা আপনি নতুন সম্পর্কে কখনোই ফেরত চাইবেন না। তবে আপনি যদি সেই কষ্টের কথা নতুন সম্পর্কে টেনে আনেন বা আপনার ভালোবাসার মানুষটি টেনে আনে তাহলে বুঝবেন সম্পর্কের সীমানা টানা উচিৎ। এখানে ভালোবাসা নেই আছে মোহ।

সম্পর্ক যখন কষ্টের কারণ :
একটা নতুন সম্পর্ক নিয়ে মানুষের যেমন অনেক ভালোলাগা কাজ করে তেমনি পুরোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে কাজ করে একে অন্যকে ঘিরে পরিকল্পনা। কীভাবে পরিবারকে মানাবে কিংবা একে অন্যকে বুঝবে ইত্যাদি। আর এসব ক্ষেত্রে যদি আপনার সঙ্গী আপনাকে সমর্থন না করে, সঙ্গ না দেয়, আপনার প্রতি তার দ্বায়িত্ব কাজ না করে, তবে বুঝে নিন এই সম্পর্কে আর কিছু বেঁচে নেই। হয়তো আপনার একার জোরাজুরিতে অপরপক্ষ নামে মাত্র সম্পর্ক রাখছে।

পরিবর্তনের আশা :
সম্পর্কে দুজনেই একদম পারফেক্ট হবে তা নয়। হয়তো আপনি আপনার সঙ্গীর মনের মতো না বা আপনার প্রিয় মানুষটি আপনার মনের মতো না। সেক্ষেত্রে দুজনই একটু পরিবর্তন আশা করে। তাছাড়া যদি কোনো খারাপ অভ্যাস থাকে তা অবশ্যই প্রিয় মানুষটি চায় তার ভালোবাসার মানুষটি যাতে ত্যাগ করে। আর আপনার হাজার বুঝিয়ে বলার পরও সে যদি সেই পথ থেকে ফেরত না আসে তবে আপনি নিজে ফিরে আসুন। কারণ যে আপনাকে বর্তমানে মূল্য দিচ্ছে না সে কোনোদিনই আপনাকে মূল্য দেবে না।

প্রিয় মানুষের সব আবদার গ্রহণ :
ভালোবাসায় আবদার থাকবেনা তা হয় না। তবে আবদারের একটা সীমা থাকা উচিৎ। আবদার যেন কোনো চাপানো কাজ না হয়। তাই ভালোবাসার মানুষের সব আবদার মেনে নেবেন না। তবে যদি যৌক্তিক আবদার মেনে না নেয় উল্টো আপনাকে বকাঝকা করে আপনাকে এসব করতে মানা করে তাহলে নিজেকে গুঁটিয়ে নিন।

এইচএন/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।