সুখী দাম্পত্য জীবনের রহস্য


প্রকাশিত: ০৫:৫৯ এএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

আপনি যখন একজন ভালো মনের মানুষের সাথে পরিচিত হবেন এবং বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন, তখন আপনি নিজেকে সুখী হিসেবে মানতে শুরু করবেন। সুখী দম্পতিরা তাদের প্রতিদিনের ছোট ছোট প্রতিটি মুহুর্ত দুজন মিলে উপভোগ করে। ঝগড়াকে তারা প্রাধান্য দেয়না বরং তাদের ঝগড়ার পরের ভালোবাসা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবুও মানুষ কারণে অকারণে অল্প জিনিস নিয়ে একে অপরের সাথে ঝামেলা করে বসে। তাই জেনে নিন কিভাবে ছোট ছোট কাজগুলো দিয়ে আপনি আপনার দাম্পত্য জীবনকে করতে পারবেন আনন্দময়।

এক সাথে ঘুমোতে যাওয়া
যদিও এটি আপনার কাছে শুনতে নিতান্তই সাধারণ মনে হবে তবে এর কার্যকারিতা অনেক। আপনি যখন আপনার সঙ্গীর সঙ্গে একই সময় ঘুমোতে যাবেন সেই সময়ে আপনাদের মধ্যে কথাবার্তা হবে। সারাদিন কে কী করলো তা জানা যাবে। আগামীকাল কী করা যায় বা কী করতে চাচ্ছেন তা নিয়েও কথা বলা যায়। এতে একজন আরেকজন সম্পর্কে জানতে পারে। আর এটি চাকরিজীবীদের জন্য খুব উপকারী। হয়তো দুজনেই কাজের জন্য বাইরে থাকার কারণে কথা তেমন বলা হয়না। তাই আপনার মনে জমে থাকা কথাগুলো সেই সময় তার সাথে ভাগাভাগি করে নিন।

পছন্দ অপছন্দ নিয়ে কথা বলুন
এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি আপনার পছন্দ অপছন্দ অন্যের মধ্যে দেখতে চাচ্ছেন কি না? নববিবাহিত দম্পতির মধ্যে এই ব্যাপারগুলো নিয়ে প্রায়শই খুঁটিনাটি লেগে থাকে। মনে রাখুন আপনি সম্পূর্ণ একজন আলাদা মানুষ। আপনার যেমন পছন্দ আছে তেমনই আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর ও হয়তো সমান ভাবে পছন্দ অপছন্দের ব্যাপার আছে। আর যদি আপনার স্বামীর বা স্ত্রীর করা কাজ আপনার একান্তই অপছন্দের হয় তবে তার সঙ্গে কোনো কফিশপ বা তার কোনো প্রিয় জায়গায় বসে যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে বলুন।
 
একে অপরের হাতে হাত রেখে হাঁটুন
একে অন্যের হাতে হাত রেখে হাঁটা উষ্ণতা প্রকাশ করে। আপনি তাকে কতটা আগলে রাখছেন তা প্রকাশ করে এর মাধ্যম। আপনার সঙ্গী যখন রিক্সায় উঠছে বা রাস্তা পার হচ্ছে তার হাত ধরে রাখুন। এছাড়া বাড়িতে কাজ করার সময় তার হাতে হাত রেখে জিজ্জেস করতে পারেন যে কোন সহযোগিতা লাগবে কি না ? এতে সে প্রচণ্ড সাহস খুঁজে পাবে। আপনাকে তার আশ্রয় মনে করা মানুষটি আরো নতুন করে শক্তি পাবে নিজের জন্য আপনাকে ভালোবাসার জন্য।

বিশ্বাস রাখুন ক্ষমা করতে শিখুন
একটা সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস, আপনি যদি আপনার সঙ্গীকে বিশ্বাস না করেন তবে সুখি দম্পতি তো দূরের কথা আপনি আপনার জীবনটা অনুভব পর্যন্ত করতে পারবেন না। আর ভুল ভ্রান্তি সবার মাঝেই আছে। আপনি নিজেও জানেন আপনার অনেক সমস্যা আছে। তাই আপনার সঙ্গীর করা কাজকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখুন। দেখবেন আপনার সঙ্গীও আপনাকে একইভাবে দেখছে।
 
আলিঙ্গন করুন
আপনার সারা দিনের কাজ হয়তো আপনাকে আপনার নিজের থেকেও একটু ছুটি দেয়না। আর আপনার স্বামী বা স্ত্রীর জন্য সময় বের করা হয়তো খুব কঠিন। তাই আপনি যখন বাড়ি ফিরবেন ঘরে ঢুকে তাকে জড়িয়ে ধরুন, সারাদিন ভালো গিয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করে নিন। দেখবেন আপনার নিজেকে খুব সুখী মানুষ বলে মনে হতে শুরু করবে।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।