যে বিষয়গুলো আমাদের উৎসাহী হতে বাধা দেয়


প্রকাশিত: ০৬:৪২ এএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

কতবার আমরা মনের অজান্তেই বলে উঠি `এ কাজ আমাকে দিয়ে সম্ভব হবে না`, `আমি এই কাজের যোগ্য না`। ছোট ছোট বাঁধাতেই নিজেকে অক্ষম ভাবা আমাদের অনেকের মধ্যেই আছে। কোনো কিছু নিয়ে উৎসাহ আমাদের মাঝে খুব কম সময়ই কাজ করে। না পারার ভয় আগে উঁকি দেয় আমাদের মনে। যার ফলে আমরা অনেক কাজেই সফল হই না।

খারাপ দিক নিয়ে আগে চিন্তা করা :
কোনো কিছু করার শুরুতে চাই প্রচণ্ড ইচ্ছা, সাহস আর উৎসাহ। এই তিনটির একটিও যদি কম থাকে তবে আপনি সে কাজে সফল হতে পারবেন না। কাজের শুরুতেই অনেকে ভাবে তাকে দিয়ে আদৌ এই কাজ সম্ভব কি না? সে পারবে কি না? চেষ্টা না করে যখন আপনি এসব নিয়ে ভাবেন তখনই সমস্যার সৃষ্টি হয়। আর আপনাকে পেয়ে বসে হতাশা।

সুবিধা এবং পুরস্কার :
কাজের ক্ষেত্রে সব সময় যে আপনি সুবিধা পাবেন তা কিন্তু নয়। আপনাকে সম্মুখীন হতে হবে নানা অসুবিধার। আর এই অসুবিধাগুলো এলেই মানুষের মনে জন্মে নানা প্রশ্ন। সে কি ঠিকমতো কাজের জন্য পুরস্কৃত হচ্ছে? তার পাওনা পাচ্ছে? নাকি শুধু খেটে যাচ্ছে? এসব চিন্তা তাকে সামনে কাজে এগিয়ে যেতে বাঁধা দেয়। আর সেও পিছিয়ে পরে। উৎসাহ হারিয়ে ফেলে।

অবাস্তব লক্ষ্য সৃষ্টি করা :
আপনি অনেক কাজেই পারদর্শী না হতে পারেন, তবে কোনো একটি নির্দিষ্ট কাজে তো অবশ্যই পারদর্শী। সেই কাজটি খুঁজে বের করুন। নয়তো আপনি যে কাজটি পারছেন না তা বারবার করার চেষ্টা করবেন, হেরে যাবেন আর নিজেকে দোষারোপ করবেন। যা আপনার ভেতরের উৎসাহকে মেরে ফেলবে। তাই যেই কাজটি আপনি পারেন তাই করুন পুরো উৎসাহ নিয়ে।

ছোট ছোট অভ্যাসগুলোকে খুঁজে বের করুন :
আমদের ছোট ছোট পছন্দের কাজ অনেকক্ষেত্রে আমাদের কাছে উপস্থিত হয় বিরাট আকারে। প্রথম দিকে হয়তো তাকে আমরা চিনতে পারিনা। কিংবা শুধু শখের কাজ বলেই পাশে রেখে দেই। যা একদম ঠিক নয়, বরং এসব কাজে আরো বেশি উৎসাহ খুঁজে পাওয়া যায়।

কাজ করতে ইচ্ছা না থাকা :
সবার আগে সাফল্যর জন্য প্রয়োজন কাজের ইচ্ছা। কাজের ইচ্ছা ছাড়া আপনি জীবনে কিছুই করতে পারবেন না। সাময়িক কোনো কাজ করার প্রচণ্ড ইচ্ছা মনে জাগলেও তা কিছুক্ষণের মধ্যই হাড়িয়ে যাবে। তাই নিজেকে উৎসাহী করতে কাজের ইচ্ছাকে বাড়ান।

এইচএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।