দুঃখকে যেভাবে সৃজনশীলতায় রূপ দেবেন


প্রকাশিত: ০৭:২০ এএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

সুখ এবং দুঃখ মানুষের সঙ্গী। একটিকে ছাড়া অন্যটি একবারে অচল। জীবনের চলার পথে এরা সাথে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে সুখ যতক্ষণ থাকে আমরা শান্তিতে থাকি কিন্তু দুঃখ এলে হা-হুতাশ করতে থাকি। কিন্তু এই দুঃখই হতে পারে ইতিবাচক যদি তাকে সৃজনশীলতায় রূপ দেয়া যায়।

নেতিবাচক আবেগকে নিয়ন্ত্রণ :
যখন আপনি জানতে পারবেন আপনার নেতিবাচক ভাবনাগুলো সম্পর্কে তখন আপনি তাকে নিয়ন্ত্রনে আনতে পারবেন। তাকে নতুনত্বের রূপ দিতে পারবেন, কোন কোন কাজগুলো করলে আপনার খারাপ লাগে তা জানলে এবং কী করলে আপনার ভালো লাগে তা জানলে দুটো মিশিয়ে তৈরি করতে পারবেন যেকোনো ভালোলাগার নতুন কাজ।

সবার সঙ্গে মনের কথা ভাগ না করা :
মনের কথা সবার সাথে ভাগাভাগি না করাই ভালো। এক এক জনের এক এক মতামত হয়তো আপনাকে বিভ্রান্ত করে ফেলতে পারে। এতে আপনি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। তাই সবার আগে নিজেই নিজের সঙ্গে মনের কথা ভাগাভাগি করুন আর যেটা ভালোলাগে তাই করুন।

নিজের মানদণ্ড :
নিজেকে কখনো অন্যের সঙ্গে তুলনা করবেন না। আপনার যা আছে তাতেই আপনি সেরা। তা কাজে লাগিয়েই আপনি নতুন কিছু করে ফেলতে পারবেন। আপনি কী পারেন না তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনি কী পারেন। আর এই চিন্তাই আপনাকে সৃজনশীল কাজ করাতে যথেষ্ট।

পথ খুঁজে বের করা :
আপনি কী পারেন না তা তো আপনি খুব সহজেই বের করে ফেলতে পারেন। কিন্তু এত না পারার ভিড়ে আপনি কী পারেন তা খুঁজে বের করুন। তাকে আরো নতুত্বের ছোঁয়া দিন। আর নতুন সৃজনশীল কিছু আবিষ্কার করুন।

ছবি আঁকা :
অনেকেই ছবি আঁকতে খুব পছন্দ করেন। ছবি এমন একটা বিষয় যাতে আপনার মনে যা আছে আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী ফুটিয়ে তোলা যায়। তাই মনের মাধুরী মিশিয়ে ছবি আঁকুন। আর এই কাজ করতে করতে দেখবেন আপনার করা সবচেয়ে ভালো কাজটি আপনার কাছে ধরা পড়ে গেছে।

এইচএন/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।