মশা কামড়ালে করণীয়
আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বা আড্ডায় যাকে না চাইতেই পাওয়া যায় তা হচ্ছে মশা। আপনি দুনিয়ার যে প্রান্তেই যান না কেন এই মশার দেখা মিলবেই। মশা যদি কেবল গুনগুন গান শুনিয়ে শান্তিতে থাকতো তাহলেতো বেশ হতো। কিন্তু মশা তো এসবে ক্ষান্ত হবার নয়। রক্ত চুষে নেয় আর দিয়ে যায় চুলকানি সহ ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ে সহ নানা রোগ। তবে ঘরোয়া কিছু টিপস পারে আপনার এই মশার কামড়ের কারনে হওয়া চুলকোনি বন্ধ করতে।
পানি :
মশা কামড়ালে যতটা সম্ভব জলদি স্থানটি পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। আর এর পর জায়গাটি এ্যালকোহোল দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। এরপর তাতে এ্যান্টিসেপ্টিক জাতীয় কিছু লাগিয়ে নিন। যা ভেতরের জীবাণুগুলোকে ধ্বংস করে দেবে। এছাড়া মশার কামড়ের ফলে জ্বলুনি থেকেও এটি আরাম প্রদান করবে।
লেবু :
লেবু পিস পিস করে কেটে নিন। এবার আক্রান্ত জায়গাটিতে ঘষে লাগিয়ে দিন। লেবুতে থাকা এসিড মশার কামড়ে প্রতিক্রিয়াকে নষ্ট করে দেয় যাতে আপনার চুলকনিসহ জ্বলা ভাবটাও কমে যায়।
ওটমিল :
ওটমিল চুলকানি কমাতে অনেকাংশে সাহায্য করে। তাই ওটমিলের পেস্ট তৈরি করে নিন এবং তা আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। তারপর তা ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুলকানি কমে গিয়েছে।
মধু :
মধু দ্রুত ব্যথা চুষে নেয় এবং চুলকানি কমিয়ে আনে। তাই মশা কামড়ালে দ্রুত সেই স্থানে মধু লাগান।
ভিনেগার :
তুলোর টুকরো ভিনেগারে ডুবিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ তার পর তা আক্রান্ত স্থানে চাপ দিয়ে কিছুক্ষণ ধরে রাখুন, এটি যেমন চুলকানি কমাবে তেমনি এর অন্যান্য খারাপ প্রতিক্রিয়াগুলোও কমিয়ে আনবে। এরপর জায়গাটি পানি দিয়ে পরিষ্কার করে দিন।
বেকিং সোডা :
এক চামচ বেকিং সোডা এক কাপ হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে নিন। তার একটি পেস্ট তৈরি করুন এবং আক্রান্ত স্থানে কয়েক মিনিটের জন্য মাখিয়ে রাখুন। এর পর পরিষ্কার পানি দিয়ে জায়গাটি ধুয়ে দিন। চুলকানি কমে যাবে।
এইচএন/পিআর