অনিমার ফেসবুক শপ ঘুড়ি


প্রকাশিত: ০৬:৫৯ এএম, ২৪ আগস্ট ২০১৬

দেশে এখন অনলাইন শপিং ভালভাবে পরিচিত হওয়া শুরু করেছে এবং তার সাথে সাথে জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছে। সরাসরি বাজারে গিয়ে শপিং করার পাশাপাশি অনলাইনে শপিং করার সুবিধাগুলো এখন মানুষ বুঝতে শুরু করেছে। বর্তমানে আমাদের দেশের অনলাইন শপগুলোতে জামাকাপড় থেকে শুরু করে সৌখিন ইলেক্ট্রনিক্স পন্য, নিত্য ব্যবহার্য প্রায় সব জিনিসই পাওয়া যায়। কাজের অনেক ব্যাস্ততার মাঝে প্রয়োজনীয় জিনিসটি কিনতে যারা বাজারে যেতে পারছেন না অথবা যারা চাইছেন ঘরে বসে পন্য অর্ডার করে ঘরে বসেই সেটি সংগ্রহ করবেন তাদের জন্য অনলাইন শপ আদর্শ। এরকমই একটি অনলাইন শপ হল ঘুড়ি।

রাজশাহী থেকে অপারেট করা ফেইসবুক বেইজড এই অনলাইন শপটি মেয়েদের জন্য হাতের কাজ করা পোশাক তার ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়। ঘুড়ির উদ্যোক্তা হলেন অনিমা চৌধুরী। তার সবসময় ইচ্ছে ছিল নিজে উদ্যেগী হয়ে কিছু করার। ছোটবেলা থেকেই তার আঁকাআঁকি, পোষাক ডিজাইন এমন সব ক্রিয়েটিভ কাজের প্রতি আগ্রহ ছিল প্রবল। পড়াশোনার পাশাপাশি বেশ কিছু ছোটখাটো সামাজিক ইভেন্টে করতে গিয়ে তিনি উপলব্ধি করেন যে, বাংলাদেশে নারী উদ্যেক্তার সংখ্যা অনেক কম, এবং রাজশাহীতে এমনটা আরও কম।

অনেক মেয়েরই পর্যাপ্ত মেধা আর ইচ্ছে থাকা স্বত্তেও সামাজিক বাধা-নিষেধের কারণে তার পক্ষে সাহস করে উদ্যোগী হয়ে ওঠা সম্ভব হয় না। তখন থেকেই অনিমা মেয়েদের উদ্যোগী হবার বিষয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং ঠিক করেন পড়াশোনা শেষ করে তিনি নিজেই উদ্যোগ নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াবেন এবং অন্য মেয়েদেরকে এই কাজে উৎসাহিত করতে সাধ্যমত চেষ্টা করবেন। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করার পর তিনি ফেইসবুক শপ ঘুড়ি প্রতিষ্ঠা করেন এক রকম ঝোঁকের মাথায়। পরে ধীরে ধীরে ঘুড়ি সুপরিকল্পিত ও সুদুরপ্রসারী হয়ে উঠেছে।

অনিমা চৌধুরীর মতে, মেয়েদের স্বউদ্যোগী হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর অনেক উপায় রয়েছে। এর জন্য শুধু একটু পরিশ্রম এবং সৎ সাহস থাকা প্রয়োজন। অনিমা স্বউদ্যোগী হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে ফেইসবুক শপ বেছে নিয়েছেন। তার মতে যেকোনো মেয়েই তার নিজের আগ্রহের যায়গায় অবিচল থেকে তার স্বপ্ন সফল করতে পারে। এর জন্য তার দরকার একাগ্রতা।

এইচএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।