কামিজে হাতের কাজ

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২০ এএম, ২৪ জানুয়ারি ২০১৫

একটা সময় ছিল যখন বাড়ির মেয়েরা কাজের অবসরে কামিজে কিংবা ওড়নায় বিভিন্ন রকম কারুকাজ করত। হতে পারে তা সুই-সুতার কৌশলী কোনো ফোঁড়, চুমকি-পুঁতি কিংবা লেইসের কারুকাজ। সময় বদলেছে। নিজের হাতে কাজ করে পোশাক পরার মতো দীর্ঘ সময় অনেকের হাতেই নেই। তাই বলে তো আর পোশাকে হাতের কাজের যে ফ্যাশন বহুদিন ধরে চলে আসছে তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে না। ফ্যাশনপ্রেমীদের নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে ফ্যাশন হাউসগুলো তো রয়েছেই! সেখানে গেলেই দেখা মিলবে হাতের কাজ করা জমকালো সব পোশাকের।

বাহারি কারুকাজ

ফ্যাশন হাউসগুলোতে হাতের কাজ করা কামিজ বেশি দেখা যায়। কাপড় হিসেবে সুতির জয়জয়কার সব ঋতুতেই। পাশাপাশি এন্ডি কটন, তাঁত, হাফ সিল্ক, অরগ্যান্ডি, সিল্ক, মসলিন কাপড়ের কামিজেও করা হচ্ছে হাতের কাজ। সিঙ্গেল কামিজে পুঁতি, চুমকি, বোতাম ও লেইসের বাহারি ব্যবহারও তরুণীদের নজর কাড়ছে। আবার কামিজের কাটিং, কলার, লে-আউট, ছাপা, ব্লক, বুটিক, বাটিক, লেস ও চুমকির ব্যবহার প্রায় সবকিছুতে ইদানীং বিভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। এসব কামিজে থাকছে ব্লক, কারচুপি, অ্যাপ্লিক, ভরাট অ্যাপ্লিক ও এমব্রয়ডারির কাজ। সালোয়ার-কামিজে জমকালো ভাব আনতে কামিজের কাজগুলো ভারি রাখা হচ্ছে। গলায় উজ্জ্বল রঙের সুতার কাজ থাকছে। কোনো কামিজের সম্পূর্ণ বডিতে আবার কোনোটির নিচের অংশে সুতার মোটা ও ভরাট ডিজাইন, পট্টি ও লেইস ব্যবহার করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না পেছনের অংশও। কামিজের হাতায়ও থাকছে ভারি কাজ। সালোয়ার হচ্ছে কামিজের সঙ্গে কনট্রাস্ট করে। ওড়নায় থাকছে হালকা কাজ। লাল থেকে শুরু করে নীল, সবুজ, হলুদ, বেগুনি, কমলা, মেজেন্টা থাকছে সব ক’টা রঙই। কামিজের কাজের সঙ্গে রঙ মিলিয়ে করা হচ্ছে সালোয়ার এবং ওড়নার ডিজাইন।

কোথায় পাবেন

ফ্যাশন হাউস বিবিয়ানায় পাবেন হাতের কাজ করা সুতি, জামদানি, সিল্ক, হাফ-সিল্ক, কোটা ও অ্যাপ্লিকের নানা ডিজাইনের থ্রি-পিস। ১০০০ থেকে শুরু করে ৬০০০ টাকার মধ্যে এসব থ্রি-পিস পাওয়া যাবে। বিবিয়ানায় লং কামিজের পুরোটাজুড়েই সুতা দিয়ে হাতের কাজ পাবেন ১০০০ থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে। যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা সিটি ছাড়াও রাজধানীর ধানমণ্ডি, শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেট, বনানী ও চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি রোডের আফমি প্লাজায় বিবিয়ানার শাখা রয়েছে। এছাড়া ঘুরে আসতে পারেন সারা দেশের রঙ, অঞ্জন’স, স্টুডিও এমদাদ, আড়ং, ক্রে-ক্রাফট, বাংলার মেলা, প্রবর্তনা, নগরদোলা, সাদাকালো, অন্যমেলা, দেশাল-এর শোরুমগুলোয়।

এইচএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।