যে সহজ কাজগুলো আপনার জীবন সাজিয়ে তুলবে


প্রকাশিত: ০৫:৪১ এএম, ২২ আগস্ট ২০১৬

মানুষের জীবন প্রতি মোড়ে মোড়ে পরিবর্তিত হয়। কখনো তা আমাদের জন্য ভালো কিছু নিয়ে আসে আর কখনো তা আমাদের অপেক্ষায় রাখে। তারপরও জীবনকে সাজানো যায় খুব সুন্দর করে নিজের একটু ইচ্ছা শক্তি থাকলেই। চলুন জেনে নেই কিভাবে আপনি জীনকে সাজাতে পারবেন খুব সহজভাবে সুন্দর করে।

ফোন করুন এসএমএস দেওয়া থেকে বিরত থাকুন :
এসএমএস করার মাধ্যমে আমরা একে অন্যর সংস্পর্শে খুব সহজেই আসতে পারি। আর এসব করতে করতে আমরা ফোনে কথা বলার কথা অনেক সময়ই ভুলে যাই। কথা বলার মাধ্যমে আপনি অপর প্রান্তের মানুষের মনের ভাব অনেকখানি বুঝতে পারবেন, যা এসএমএস এর মাধ্যমে কখনোই বোঝা যায় না। তাই যতটা সম্ভব এসএমএস থেকে বিরত থাকুন। এটি আপনার সাথে আপনার প্রিয় মানুষগুলোর দূরত্ব কমায় না বরং বাড়ায়।
 
মনের কথাগুলো ব্যক্ত করতে শিখুন :
আপনি যদি সেইসব মানুষদের মধ্যে পড়েন যারা সহজে মনের কথা কাউকে বলে না, কারো সাথে ভালোলাগা-মন্দলাগা ভাগাভাগি করে না। যদি এমনটি আপনি হয়ে থাকেন তবে আজই একে দূর করুন। এটি আপনার জন্য সবচেয়ে ভয়ংকর সমস্যা। আপনি যতক্ষণ না আপনার মনের কথা খুলে বলছেন আপনি কখনোই মন খারাপ থেকে দূরে থাকতে পারবেন না। তাই মনের কথাগুলো অবলিলায় বলতে অভ্যাস করুন।

নিজের জন্য মধুর স্মৃতি তৈরি করুন :
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ভালো থাকাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের। খারাপ তো যে কেউই থাকতে পারে। আর ভালো থাকার অন্যতম উপায় হচ্ছে স্মৃতি। তাই সারাদিনের কাজ থেকে ছোট ছোট মধুর সময়গুলো খুঁজে বের করুন। তা বার বার মনে করুন দেখবেন জীবনটা কত মধুর।

যোগাযোগ স্থাপন করুন :
ব্যস্ততার জন্যই হোক বা অন্য যে কারণেই সবকিছু পেছনে রেখে কাছের মানুষদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করুন। তাদের সাথে অন্তত উৎসবের দিনগুলো একসাথে কাটান দেখবেন জীবন অনেক বাজে মুহুর্তের মধ্যে থেকেও কেমন ভালো আছে। নিজের কাছেই নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে হতে শুরু করবে আপনার।

কাজে মনোযোগ দিন :
আমরা প্রায়শই ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি ভেবে থাকি। যার জন্য বর্তমানের অনেক কিছুই আমরা হারিয়ে ফেলি। তাই বর্তমানের প্রত্যেকটা কাজে মনোযোগ দিন। দেখবেন আজকের করা ছোট ছোট কাজগুলো আপনার ভবিষ্যৎকে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তুলছে।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।