শীতে কোমল ঠোঁট


প্রকাশিত: ০৫:২০ এএম, ২০ জানুয়ারি ২০১৫

ত্বকের একটি স্পর্শকাতর অংশ হল ঠোঁট। যেহেতু ঠোঁটে কোনো অয়েল গ্ল্যান্ড থাকে না, তাই ঠোঁট শুকিয়ে যায় এবং শীতের সময়ে সেখানে নানা সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকের মতো ঠোঁটেরও ক্লিনজিং, স্ক্র্যাবিং প্রয়োজন। নরম ঠোঁটে শীতের প্রভাব বিস্তার করার আগেই জেনে নিই, কি করে বাড়িতে বসে প্রাকৃতিক উপায়ে ঠোঁটের যত্ন নেয়া যায়-

১. ঠোঁট নরম ও মসৃণ রাখতে মুখ ধোওয়ার পর ঠোঁটের ওপর শুকনো কাপড় ব্যবহার না করে ভেজা পরিষ্কার কাপড় অথবা ভেজা তুলা ব্যবহার করতে পারেন। এতে মরা কোষ ঝরে পড়বে। তবে খেয়াল রাখবেন ঠোঁটের চামড়া খুব পাতলা হয়। তাই জোরে ঘষবেন না। একইভাবে ঠোঁটের ওপর লাগানো লিপবাম বা লিপস্টিকও তুলে ফেলতে হবে।

২. ঠোঁটের জন্য সবচেয়ে উত্তম ক্লিনজার ঘি। রাতে ঘি লাগিয়ে সকালে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, এতে ঠোঁট নরম থাকবে। মধুও ব্যবহার করা যেতে পারে।

৩. শীতকালে ঠোঁটের চামড়া দ্রুত শুকিয়ে যায়। কারণ ঠোঁটের আর্দ্রতা কম থাকে। তাই ডেড সেলগুলো ঠোঁট থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। এর জন্য দরকার স্ক্রাবিং। ঠোঁটের জন্য সবচেয়ে উপকারী স্ক্রাবার হল চিনি। সামান্য পরিমাণ চিনির সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে, আঙুলের ডগায় নিয়ে হালকা করে ঠোঁটে ঘষলে মরা কোষ খুব সহজেই উঠে আসবে। এরপর ঠোঁট পরিষ্কার করে, ছোট একটি বিটের টুকরো নিয়ে ঠোঁটে ঘষুন। এটা করবেন সপ্তাহে অন্তত ২ দিন।

৪. প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে অলিভ অয়েল নিয়মিত ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট ফাটার সমস্যা থাকবে না। আবার আমন্ড অয়েল ঠোঁটে নিয়মিত ব্যবহারে ঠোঁট ফাটার প্রবণতা দূর করে।

৫. বিটের রস হচ্ছে ন্যাচারাল ক্লিনজার। নিয়মিত বিটের রস ও কাঁচা দুধ সমপরিমাণ মিশিয়ে লাগালে, ঠোঁটের কালো দাগ ও মরা কোষ তুলতে সাহায্য করে এবং ঠোঁটে এক ধরনের স্বাভাবিক গোলাপি আভা নিয়ে আসে।

৬. গোলাপের পাপড়ি পেস্ট করে ঠোঁটে লাগাবেন। ঠোঁটের সঠিক পুষ্টির জন্য পাকা পেঁপে চটকে, তার সঙ্গে দুধের সর মিশিয়ে একটা মিশ্রণ করতে হবে। ঠোঁটে ১০ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

এইচএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।