চুলের পরিচর্যায় ক্যাস্টর অয়েলের ব্যবহার


প্রকাশিত: ০৬:৫৪ এএম, ০৬ আগস্ট ২০১৬
মডেল : নাবিলা

চুলের যত্নে আমরা নানা কিছুরই ব্যবহার করে থাকি। সুস্থ ও সুন্দর চুলের প্রত্যাশা থাকে প্রত্যেকেরই। সুন্দর ও ঝলমলে চুল পেতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন ক্যাস্টর অয়েল। ক্যাস্টর অয়েলে রয়েছে ভিটামিন ই, মিনরেলস, প্রোটিন, অ্যাসেন্সিয়াল ফ্যাটি এসিড। যা চুল পড়া রোধ করার পাশাপাশি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। ক্যাস্টর অয়েল এমন একটি তেল যা প্রায় সকল হেয়ার ট্রিটমেন্টে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। চলুন জেনে নেয়া যাক ক্যাস্টর অয়েলের সাহায্যে হেয়ার ট্রিটমেন্টের কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি-

এক চা চামচ মধু, দুই চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল এবং একটি ডিম ভালোমতো মিশিয়ে চুলে ভালোমতো লাগান। এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি আপনার নিষ্প্রাণ এবং রুক্ষ চুলের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে একে নরম করবে।

সমান পরিমাণ ক্যাস্টর অয়েল, তিলের তেল এবং অলিভ অয়েল ভালোমতো মিশিয়ে চুলে এবং স্ক্যাল্পে ভালোমতো লাগিয়ে গরম তোয়ালে দিয়ে পেঁচিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি খুবই কার্যকর একটি হেয়ার টনিক হিসেবে কাজ করে, যা চুল এবং স্ক্যাল্পকে খুব ভালোভাবে কন্ডিশন্ড করে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

ক্যাস্টর অয়েল খুব ঘন তাই এটি চুলে লাগানোর আগে রেগুলার চুলের তেল (কোকোনাট অয়েল, অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল) এর সঙ্গে মিশিয়ে লাগান। স্ক্যাল্পে ভালোমতো ম্যাসেজ করে কমপক্ষে ২ ঘণ্টা রাখতে হবে। তেল লাগানোর পর হেয়ার ক্যাপ অথবা হট টাওয়েল চুলে পেঁচিয়ে রাখলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। এরপর চুলে শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। আরও ভালো ফল চাইলে তেল লাগিয়ে সারারাত রেখে দিতে পারেন।

এছাড়া চোখের পাপড়ি ঘন করতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন ক্যাস্টর অয়েল। প্রতি রাতে ঘুমাবার আগে ব্রু বা পাপড়িতে লাগিয়ে সকালে ধুয়ে ফেলুন। এক মাসের মধ্যেই পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

এইচএন/এএ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।