নবদম্পতির মাঝে মধুর সম্পর্ক গড়ে উঠবে যেভাবে


প্রকাশিত: ০৮:২০ এএম, ২৬ জুলাই ২০১৬

মানুষের জীবনে ভালোবাসা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্ব। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে ভালোবাসার প্রয়োজন। আমরা ভালোবাসায় একে অন্যকে বুঝতে শিখি, খারাপলাগা ভালোলাগা ভাগাভাগি করতে শিখি। একটি মিষ্টি এবং দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক গড়ে তুলতে দরকার কিছু সময় এবং একে অন্যকে বোঝার ক্ষমতা। তবে নতুন সম্পর্কের বিষয়গুলো কিছুটা ভিন্ন। তাদের মাঝে কাজ করে দূরত্ব আর সেই সঙ্গে ভালোবাসা আর সম্পর্ককে নিয়ে নানা চিন্তা। কিন্তু অনেক সহজ উপায় আছে যার মাধ্যমে নবদম্পতির মাঝের এই দূরত্ব, সম্পর্ককে ঘিরে নানা দুশ্চিন্তা দূর করা যায়। তাদের মাঝে সৃষ্টি করা যায় নতুনভাবে ভালোবাসা। কিছু টিপস মেনে চললেই নিজেদের মাঝের সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করা যায়। যা দুজনের পক্ষ থেকে আসাই জরুরি।

`আমার` শব্দটি এড়িয়ে চলুন :
একটা সম্পর্কের শুরুতেই অনেকে কেবল নিজের সম্পর্কেই বেশি ভেবে থাকে। যেমন নিজের পরিবার, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন। অন্য একটি মানুষ তার পরিবারে যে যুক্ত হয়েছে সেটি তার মনেই থাকে না। সে কেবল ব্যস্ত হয়ে পরে নিজেকে নিয়ে। এমন ক্ষেত্রে অপর মানুষটি থেকে আপনি সম্পর্ক গড়ে তুলার সহযোগিতা কম পাবেন। তার এই নতুন জীবনের শুরুতে তার সাথে তার পরিবার, বন্ধু, আত্মীয় এদের নিয়ে কথা বলুন। তাদের সম্পর্কে জানতে চান। সে যে  আপনার জীবনের অংশ তা তাকে ধীরে ধীরে বোঝাতে থাকুন।

শখের কাজগুলো ভাগাভাগি করে করুন :
মানুষ যেমন ভিন্ন ভিন্ন তেমনি তাদের শখ ও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে যখন একে অন্যর সাথে জড়িয়ে যায় তখন শখের কাজের উপর অনেক ক্ষেত্রে বাঁধা সৃষ্টি হয়। এই ক্ষেত্রে উচিত দুজনের ভালোলাগা খারাপলাগাগুলো নিয়ে আগে কথা বলা। যার যেটা ভালো লাগে তাকে সম্মান দেওয়া এবং তাকে সেই কাজে অনুপ্রাণিত করা। কিংবা আপনাদের দুজনেরই কোন কাজ পছন্দ, ধরুন রান্না করা তা এক সাথে করা। এতে একটি দীর্ঘ সময় একসঙ্গে কাটানো যায় এবং একে অন্যর সম্পর্কে জানা যায়।

পছন্দের প্রাণিটি বাসায় রাখতে পারেন :
দুজনের পছন্দের বা অপর সঙ্গীর পছন্দের প্রাণীটি বাড়িতে নিয়ে আসতে পারেন। এতে আপনি যখন বাসায় থাকবেন না তখন প্রাণীটি তার সময় কাটানোর সঙ্গী হতে পারে। এছাড়া পোষা প্রাণীর সাথে খেলা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দুজনের মধ্যকার দূরত্ব কমিয়ে আনে। এবং তাতে সম্পর্কে মধুরতা বাড়ে।

পছন্দের কাজ করা :
নিজেদের মধ্যকার দূরত্ব কমিয়ে আনতে একে অন্যর পছন্দ জানা সবচেয়ে বেশি জরুরি। এতে নিজেদের মধ্যে একে অন্যকে জানার আকাঙক্ষা সৃষ্টি হয়। একে অন্যর পছন্দের কাজ জেনে তা করার চেষ্টা করাও অনেক বড় পদক্ষেপ। আপনি যদি বুঝতে পারেন আপনার সঙ্গী আপনার পছন্দের কাজটি করতে চাইছে বা তা খুঁজে বের করছে তাহলে অবশ্যই তার করা সেই কাজ নিয়ে প্রশংসা করুন। কখনো তা সাধারণভাবে বিচার করবেন না।

এইচএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।