প্রতিদিন মধুপানি খাওয়ার উপকারিতা
পানির অপর নাম জীবন। শরীরের সুস্থতার জন্য পানি খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের শরীরের প্রায় ৮০% পানি, যা আমাদের চিন্তার ও বাইরে। পানি আমাদের শ্বাসপ্রশ্বাস গ্রহণ এবং ত্যাগ থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন স্থানের রক্ত চলাচল বহাল রাখে। কিন্তু এই পানিকে আরো অভিনব উপায়ে শক্তিশালী করে তোলা সম্ভব। আর তা হচ্ছে পানির সঙ্গে মধু যোগ করে। যদি আপনি ভেবে থাকেন যে, মধুতে তো প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে, তা কি স্বাস্থ্যর জন্য ভালো হবে? এমনটা ভেবে থাকলে চলুন জেনে নেই মধুপানির কিছু উপকারিতা-
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে :
যারা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য মধুপানি বেশ কার্যকর। যাদের পেট ফেপে থাকে, তারা এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খালি পেটে খেয়ে নিতে পারেন। এই মধুপানি গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধ করবে। এটি আধঘন্টার মাঝেই আপনাকে আরাম প্রদান করবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে :
এটি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। মনে রাখবেন আপনাকে নিতে হবে বিশুদ্ধ এবং জৈবগুণ সম্পন্ন মধু। এটি আপনার শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াসমূহকে ধ্বংস করে এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়াসমূহকে বৃদ্ধি করে। এতে আছে প্রচুর এনজাইম, ভিটামিন এবং মিনারেল যা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে :
মধু হচ্ছে প্রাকৃতিক এন্টি-অক্সিজেন যা লুকিয়ে থাকা ময়লা-আবর্জনা দূর করতে সাহায্য করে এবং এটি এন্টিব্যাক্টেরিয়াল প্রোটেকশন যা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে :
মধুতে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, যা আপনার ওজন বাড়াতে নয় বরং কমাতে সাহায্য করে। এটি সাধারণ চিনির চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। মধুপানি পান করলে ক্যালোরি ৬৪% পর্যন্ত রক্ষা করা সম্ভব। এছাড়া এটি চিনির প্রতি আসক্তি বা মিষ্টি খাবারের প্রতি আসক্তি যেমন কেক, চকলেট, কোলা থেকে আপনাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
গলা ব্যথা সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে :
মধুপানি গলা ব্যথার জন্য খুবই উপকারী। গলা ব্যথায় নিয়মিত মধুপানি পান করলে গলা ব্যথা থেকে আরাম পাওয়া যায়। তাছাড়া গলার স্বরের যত্নে আপনি পান করতে পারেন মধুপানি।
ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে :
এটি শরীরের জন্য উপকারী। এতে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি যা শরীরের চিনির মাত্রা ঠিক রাখে। এটি কোলেস্টারলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় :
নিয়মিত মধুপানি পানে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে আসে অনেকাংশে। একটি গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে যে মধু জারণ ক্রিয়া ঠিক রাখে যার মানে রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টারলকে ধ্বংস করে, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে আসে এমনকি স্ট্রোকেরও।
এইচএন/পিআর