হৃদয় সুস্থ রাখতে করণীয়


প্রকাশিত: ০৫:২৩ এএম, ০৬ জুন ২০১৬

যুগে যুগে কবি সাহ্যিতিকগণ যাকে নিয়ে কবিতা গান লিখেছেন তা হচ্ছে হৃদয়। মনের মানুষের আবাস্থল থেকে শুরু করে মানব দেহের গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করে থাকে হৃদয়। কিন্তু প্রতিদিনের ছোট ছোট কিছু কাজ এই হৃদয়কে করে তুলছে অসুস্থ। খাদ্যাভাস থেকে শুরু করে স্বল্প কিছু সচেতনতা পারে হৃদরোগের ঝুঁকিকে কমাতে।

খাদ্যাভাসে পরিবর্তন
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আমাদের অজান্তেই জায়গা করে নেয় বাইরের খাবারগুলো। আর এইসব ভাজাপোড়া খাবারে থাকে প্রচুর পরিমাণে চর্বি, যা হৃদরোগের অন্যতম কারণ। এসব খাবার বৃদ্ধি করে প্রচুর পরিমাণে এলডিএল (খারাপ কোলেস্টেরাল) এবং হ্রাস করে এইচডিএল (ভালো কোলেস্টেরাল)। ফাস্ট ফুড, রাস্তার পাশের তেলে ভাজা খাবারের দোকানের খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত, এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায় অনেকাংশে।

সোডিয়াম জাতীয় খাবারের মাত্রা কমানো
প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় সোডিয়াম জাতীয় খাবার যেমন লবণের মাত্রা কমানো উচিত। উচ্চ রক্তচাপের রোগী খাবারের সাথে অতিরিক্ত লবণ খেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। এছাড়া কখনো কখনো উচ্চ রক্তচাপ স্টোকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা থেকে মাংস এড়িয়ে চলা
একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন খাবারের তালিকায় মাংস রাখলে তা হৃদরোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সপ্তাহে অন্তত একদিন বা দুইদিন খাবারের তালিকায় মাংস রাখা ভালো। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

কোমল পানিয় এড়িয়ে চলুন
সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় উঠে এসে সে যে প্রতিদিন কোমলপানীয় পান করলে হৃদরোগের সম্ভাবনা ২৫% পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এছাড়া কোমল পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকার ফলে তা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ।

প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়া
প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রোটিন যুক্ত খাবার রাখলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। ডিম, মাছ, হাঁস, চর্বি ছাড়া গরুর মাংস, খাদ্য তালিকায় থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

খাবারের তালিকায় সবজি, ফলমূল রাখুন
হার্ট সুস্থ রাখতে সবজি এবং ফলমুলের তুলনা নেই।এসব খাবারের আছে ভিটামিন, মিনারেল যা কোলেস্টেরাল কমাতে সাহায্য করে ।

প্রচুর পরিমাণে পানি পান
প্রচুর পরিমাণে পানি পান হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এটি হৃদয় পেশি থেকে রক্ত প্রবাহ করতে সাহায্য করে। যা হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

নিয়মিত ব্যায়াম
প্রতিদিনে রুটিন মাফিক করা ব্যায়াম আপনাকে রাখবে হৃদরোগে থেকে অনেক খানি দূরে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে যা হৃদরোগের অন্যতম কারণ।

ধূমপান থেকে বিরত থাকা
ধূমপান হৃদরোগের অন্যতম কারণ। ধূমপান থেকে বিরত থেকে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব অনেকাংশে।

মানসিক চাপ কমানো
মানসিক চাপ হৃদরোগের আরেকটি বড় কারণ। এটি অনেকাংশে উচ্চ রক্তচাপের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত। তাই মানসিক চাপকে কমাতে গান শোনা, বই পড়া কিংবা ব্যায়াম পারে মানসিক চাপ কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে।

এইচএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।