বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসের ইতিহাস

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:০৮ এএম, ২৪ মার্চ ২০২৫

‘বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস’ আজ। ১৯৮২ সাল থেকে প্রতি বছর যক্ষ্মা রোগের ক্ষতিকর দিক বিশেষ করে স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এই রোগটি নির্মূলে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে প্রতিনিয়তই বেড়ে চলছে যক্ষ্মার প্রকোপ। আক্রান্ত হচ্ছে লাখো মানুষ। সময় মতো চিকিৎসা না করার ফলে প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকে। অথচ শুরুতেই এ রোগ ধরা পড়লে এবং নিয়ম মেনে চিকিৎসা নিলে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে এ রোগ ভালো হয়। এ কারণে মানুষের মধ্যে যক্ষ্মা নিয়ে সচেতনতা তৈরি করতে প্রতি বছর ২৪ মার্চ বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মা দিবস পালিত হয়।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, ১৮৮২ সালের ২৪ মার্চ ডা. রবার্ট কক যক্ষ্মা রোগের জীবাণু ‘মাইক্রোব্যাটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস’ আবিষ্কার করেন। জীবাণু আবিষ্কারের শত বছর পর ১৯৮২ সাল থেকে দিনটিকে স্মরণীয় করা ও যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতি বছর ২৪ মার্চ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালিত হচ্ছে।

যক্ষ্মা বাংলাদেশের জন্য একটি অন্যতম মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের যে ৩০টি দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা সর্বাধিক, তাদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। ১৯৯৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যক্ষ্মাকে গ্লোবাল ইমার্জেন্সি ঘোষণা করার পর থেকেই বাংলাদেশ সরকার ও কিছু বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশে যক্ষ্মার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের যক্ষ্মা বিষয়ক সভায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা যক্ষ্মা নির্মূলের লক্ষ্যে যে সুপারিশসমূহ ও সাহসী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেন তা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার বদ্ধপরিকর। এমনকি সরকার দেশের সব নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে যক্ষ্মা রোগ শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ।

জেএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।