২০২৪ সালের সেরা ওজন কমানোর ডায়েট কোনটি?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪৫ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
নিরামিষ খাবার আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভালো

২০২৪ সাল শেষ হতে আর কয়েকদিন বাকি। তবে অন্যান্য বছরের মতো ২০২৪ সালেও মানুষ ওজন কমাতে ও শরীরকে ফিট রাখতে ডায়েটে অনেক পরিবর্তন এনেছে।

যার মধ্যে কিছু ডায়েট প্ল্যান বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি যদি নতুন বছর উপলক্ষে ওজন কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেন, তবে আপনিও নিম্নোক্ত ডায়েট প্ল্যানগুলো অনুসরণ করতে পারেন-

লো ফ্যাট ডায়েট

কম চর্বিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করে সহজেই ওজন কমানো যায়। এ ধরনের ডায়েটে থাকা খাবারে চর্বির পরিমাণ সীমিত রাখা হয় ও ক্যালোরি গুনে খাবার খাওয়া হয়। এতে থাকে- ফল, সবজি, ডিমের সাদা অংশ, ডাল, কম চর্বিযুক্ত দুধ ও দই এ খাবারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

ভেগান ডায়েট

নিরামিষ খাবার আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভালো। এই ডায়েটে এমন কোনো জিনিস খাওয়া হয় না, যা আমিষ। নিরামিষ খাবারে আমরা সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, শস্য ও বাদামকে খাদ্যের একটি অংশ করি।

আরও পড়ুন

ফ্লেক্সিটারিয়ান ডায়েট

২০২৪ সালের সেরা ওজন কমানোর ডায়েটগুলোর মধ্যে ফ্লেক্সিটারিয়ান ডায়েটও উল্লেখেযোগ্য ভূমিকা রাখে। একটি ফ্লেক্সিটারিয়ান ডায়েটের মধ্যে বেশিরভাগই উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্য যেমন- ফল, শাকসবজি, শস্য ও ডাল থাকে।

তবে মাঝে মধ্যে মাংস, মাছ বা ডিমের মতো খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এই ডায়েট শরীর সুস্থ রাখতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে ও স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করতে পারে। সবচেয়ে ভালো দিক হলো, এই ডায়েট অনুসরণ করাও বেশ সহজ।

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং

ওজন কমানোর জন্য বিরতিহীন উপবাস বা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ২০২৪ সালে আবির্ভূত হয়েছিল। এটি খাওয়ার একটি উপায় যেখানে খাওয়ার সময় কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ। বাকি সময়ে উপবাস পালন করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় শরীর ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে ও ওজন কমাতে সাহায্য করে।

১৬/৮ এই পদ্ধতির সবচেয়ে বিখ্যাত পদ্ধতি। যাতে দিনে ১৬ ঘণ্টা উপবাস রাখা হয় ও বাকি ৮ ঘণ্টা খাবার খাওয়া হয়। এই পদ্ধতি শুধু ওজন কমাতেই সাহায্য করে না, এটি শরীরের জন্যও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বলে বিবেচিত।

সূত্র: বোল্ডস্কাই

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।