এক পায়ে দাঁড়ালেই বুঝবেন হার্ট ভালো আছে কি না?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৩২ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
হৃদরোগের বিভিন্ন লক্ষণ দেখেও অবহেলা করেন অনেকে

হৃদরোগ এখন আর বয়ষ্কদের অসুখ নয়, কমবয়সীরাও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করছেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হলে শরীরে একাধিক লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যদিও ব্যক্তিভেদে লক্ষণ পরিবর্তন হতে পারে।

তাই অনেকেই হৃদরোগের বিভিন্ন লক্ষণ দেখেও অবহেলা করেন আবার অনেকে নিজের অজান্তেই ভোগেন হৃদরোগে। তাই এ বিষয়ে সবারই সচেতন হওয়া জরুরি। তবে একটি পরীক্ষা করলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন, আপনার হার্ট ভালো আছে কি না। ঘরে এক পায়ে দাঁড়িয়ে করতে হবে এই পরীক্ষা।

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত এক সমীক্ষা অনুসারে, কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য এক পায়ে দাঁড়াতে পারলে বুঝবেন আপনার হৃদযন্ত্রসহ সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো আছে। এই গবেষণায় ৮৪১ জন নারী ও ৫৪৬ জন পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। তাদের গড় বয়স ছিল ৬৭ বছর।

এক পায়ে দাঁড়ানোর সময় অংশগ্রহণকারী তাদের চোখ খোলা রেখেছিলেন। এক পা উঁচু করে রাখার সর্বোচ্চ সময় ছিল ৬০ সেকেন্ড। এই পরীক্ষায় যেসব অংশগ্রহণকারী নিজেদের ভারসাম্য ধরে রাখতে পারেননি তাদের হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি ছিল।

গবেষণার প্রধান লেখক ও কিয়োটো ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব মেডিসিনের সেন্টার ফর জেনোমিক মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপক ইয়াসুহারু তাবারার এ বিষয়ে জানান, এক পায়ে দাঁড়ানোর সক্ষমতা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।

তার মতে, এক পায়ে যারা দাঁড়াতে পারেন না তাদের মধ্যে মস্তিষ্কের রোগ ও মানসিক স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেশি। আবার হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি আছে কি না সেটিও জানা যায় এই পরীক্ষার মাধ্যমে। নিয়মিত এক পায়ে দাঁড়ানোর অভ্যাস করলেও মিলবে সুফল।

এটি শরীরচর্চার একটি ভঙ্গি। যা ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ করে ও শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখা যায়। আবার মানসিকভাবেও সুস্থতা মেলে। এমনকি শারীরিক সক্ষমতাও বাড়ায় এই ভঙ্গি, কাঁধের প্রশস্ততা বাড়ায়। এক পায়ে দাঁড়ানোর অভ্যাস করলে আপনার হার্টও ভালো থাকবে।

সূত্র: ব্রাইট সাইড/হার্ট.অর্গ

জেএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।