প্রাকৃতিক যেসব অ্যান্টি বায়োটিক রোগ সারাতে কাজ করে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫১ পিএম, ০৬ নভেম্বর ২০২৪
ছবি- অ্যান্টি বায়োটিক সাধারণত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়

শীত প্রায় চলেই এলো। এই পরিবর্তনশীল আবহাওয়ায় ছোট থেকে বড় সবাই এখন কমবেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আর বিভিন্ন রোগ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলেই তারা প্রায়শই অ্যান্টি বায়োটিক গ্রহণের পরামর্শ দেন।

গুরুতর রোগের ক্ষেত্রে অ্যান্টি বায়োটিক গ্রহণের বিকল্প নেই, তবে আপনি ছোটখাটো অসুখের ক্ষেত্রে গ্রহণ করতে পারেন প্রাকৃতিক অ্যান্টি বায়োটিক। যা পেয়ে যাবেন আপনার রান্নাঘরেই।

অ্যান্টি বায়োটিক সাধারণত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। তবে অপব্যবহার ও ভুল ব্যবহারের কারণে, আজ অনেক ব্যাকটেরিয়া এই ওষুধগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে।

তাছাড়া অনেক অ্যান্টি বায়োটিকও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে আসে। যা কখনো কখনো লিভার ও কিডনির মতো অঙ্গগুলোর ক্ষতি পারে। অনেক ঘরোয়া প্রতিকার ও খাবার আছে যা প্রাকৃতিক অ্যান্টি বায়োটিক হিসেবে কাজ করে। যেমন-

আদা

আদা সেরা এক অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি মসলা। এতে জিঞ্জেরল, টেরপেনয়েডস, শোগাওল, জেরুমবোন ও জিঞ্জেরোনের পাশাপাশি অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যযুক্ত শক্তিশালী ফ্ল্যাভোনয়েড আছে।

এটি আপনাকে কার্যকরভাবে ব্যাকটেরিয়ার অনেক প্রজাতির সাথে লড়াই করতে সাহায্য করবে। কাঁচা আদা চিবিয়ে খেলে বা এর রস পানে আপনি সর্বোচ্চ পুষ্টি পাবেন। এছাড়া আপনার সালাদ কিংবা স্যুপের উপর ছড়িয়েও খেতে পারেন। পাশাপাশি আদা চা পান করতে পারেন।

পেঁয়াজ

পেঁয়াজ সিস্টাইন সালফক্সাইড নামক থেরাপিউটিক সালফার যৌগগুলোর একটি সমৃদ্ধ উৎস। যাতে অ্যান্টি বায়োটিক প্রভাব আছে এমন ফ্ল্যাভোনয়েড মিলবে। আপনি পেঁয়াজ কাঁচাও খেতে পারেন। এছাড়া এটি রান্নায় ব্যবহার করে পুষ্টি মিলবে।

আরও পড়ুন

রসুন

রসুনে আছে অ্যালিসিন, যা কার্যকরভাবে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। তবে এটি পরিমিতভাবে রাখুন। বিশেষ করে রক্তপাতজনিত ব্যাধিতে আক্রান্তদের উচিত রসুন খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।

রসুন সাধারণ ও বিরল সংক্রমণের ক্ষেত্রে দায়ী প্যাথোজেনকে মেরে ফেলতে পারে। এতে শক্তিশালী অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে। রসুন কাঁচা খাওয়া ভালো।

শুধু একটি রসুনের লবঙ্গ ছোট টুকরো করে কেটে নিন বা গুঁড়ো করে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এটি এনজাইমগুলোকে মুক্তি দেবে যা অ্যালিসিনে রূপান্তরিত হয়। কিছুক্ষণ পর খেয়ে নিন। স্বাদ আপনার পছন্দ না হলে আপনি এটি এক গ্লাস জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন। একটি লবঙ্গ দিয়ে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে এটি বাড়িয়ে ৩টি করুন।

মধু

সব মধুই প্যাথোজেনগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ভালো। তবে মধু অন্যান্য জাতের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। এই মধু নিউজিল্যান্ডের স্থানীয়। এটিতে আশ্চর্যজনক অ্যান্টি বায়োটিক, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে ও এমনকি এমআরএসএ-এর চিকিৎসায়ও ব্যবহার করা হয়। তবে এটি শিশুদের দেওয়া উচিত নয়।

প্রতিদিন শুধু দুই টেবিল চামচ মধু খান। তবে গরম পানিতে কখনো মধু মিশিয়ে পান করবেন না। কারণ এতে মধুর থেরাপিউটিক মান নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর মধুর পুষ্টিগুণ পেতে অবশ্যই প্রাকৃতিক উৎস থেকে সংগ্রহ করে খাওয়া উচিত।

সূত্র: বোল্ডস্কাই

জেএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।