মানসিক সুস্থতায় খাদ্যাভ্যাসের ভূমিকা

শামসুন নাহার তাহিরা
শামসুন নাহার তাহিরা শামসুন নাহার তাহিরা , পুষ্টিবিদ
প্রকাশিত: ০৬:০২ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মানসিক সুস্থতা অনেক বড় একটি বিষয়। অনেকেই হয়তো হতাশা ও দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে পুষ্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খাদ্য আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যাভ্যাসে ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন মানসিক স্বাস্থ্যের সুস্থতায় ভূমিকা রাখতে পারে।

খাদ্যতালিকায় মাছ, মাংস, শাক-সবজি, প্রোবায়োটিক খাদ্য, বিচি জাতীয় খাবার, টমেটো, আখরোট ইত্যাদি যোগ করার মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে।

সবুজ শাক-সবজি
সবুজ শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি (ফোলেট) থাকে। এ ছাড়া ম্যাগনেশিয়াম থাকে। যা মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করে।

গাজর
গাজরে ক্যারোটিনয়েড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা দেহের প্রদাহ কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি বিষণ্নতা দূর করতে সাহায্য করে।

মাশরুম
মাশরুম বি ভিটামিন এবং সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ। কিছু গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয় যে, এটি মানসিক হতাশার লক্ষণগুলো দূর করতে সাহায্য করে।

টমেটো
টমেটোতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। এ ছাড়া এতে আয়রন, ট্রিপটোফেন, ভিটামিন বি আছে। যা মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

বাদাম
বাদামে সেলেনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, জিংক, ক্যালশিয়াম এবং আয়রনসহ অনেক পুষ্টি আছে। এ ছাড়া এলাজিক নামক একটি উপাদান আছে। যা এন্টিডিপ্রেসেন্ট প্রভাব দেখিয়েছে।

দুধ
দুধ ভিটামিন ডি’র একটি ভালো উৎস, যা বিষণ্নতার লক্ষণগুলোকে দূরে রাখতে পারে।

পানি
মানসিক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে অবশ্যই যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এটি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং হতাশা কমিয়ে দেয়।

এসইউ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।