ফ্যাটি লিভার হলে মুখে যেসব লক্ষণ দেখা দেয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫৮ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ছবি- ফ্যাটি লিভার একটি গুরুতর ব্যাধি

ফ্যাটি লিভার একটি গুরুতর ব্যাধি। এই রোগ গুরুতর আকার ধারণ করলে এর থেকে হতে পারে লিভার সিরোসিস। ফ্যাটি লিভার দুই ধরনের হয়- অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ও নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ।

অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের কারণ হলো মদ্যপান। অপরদিকে নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের পেছনে থাকে জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস।

এই অসুখের লক্ষণ প্রথমেই চিনে নিতে পারলে চিকিৎসা ও জীবনযাত্রার বদলের মাধ্যমে রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন। তাই এই কয়েকটি উপসর্গ দেখলে সাবধান হন-

ফ্যাটি লিভারে মুখে যে কয়েকটি লক্ষণ দেখা দিতে পারে-

১. মুখ ফুলে যাওয়া
২. ঘাড়ের নীচের দিকের অংশ কালচে হওয়া
৩. মুখের ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে
৪. মুখে র্যাশ বের হওয়া
৫. মুখের ত্বকে চুলকানি ও
৬. ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

ফ্যাটি লিভারের অন্যান্য লক্ষণ কী কী?

১. পেটে ব্যথা
২. বমি বমি ভাব
৩. বমি হওয়া
৪. ক্ষুধা না লাগা
৫. ওজন দ্রুত কমা
৬. পা ও শরীরের অন্যান্য অংশে পানি জমা
৭. প্রচণ্ড দুর্বলতা
৮. বিভ্রান্তি ইত্যাদি।

কীভাবে রোগ নির্ণয়?

এই অসুখ নির্ণয় করার ক্ষেত্রে প্রথমে দেওয়া হয় লিভার এনজাইম টেস্ট। এই টেস্টেই খুব সহজে রোগটি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা যায়। এছাড়া চিকিৎসক আলট্রা সাউন্ড করে দেখতে পারেন।

পাশাপাশি লিভার বায়োপসি ও ফাইব্রোস্ক্যান করা যেতে পারে। এই দুটি টেস্টের মাধ্যমেই অনায়াসে রোগের পর্যায় সম্পর্কে জানা যায়। তাই দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বললেই চলে।

রোগের চিকিৎসা কী?

এই অসুখের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কয়েকটি ওষুধ ব্যবহার করা হয়। সেই ওষুধগুলো দারুণ কাজ করে। তবে এর পাশাপাশি ডায়েট ও জীবনযাত্রায় কিছু বদল আনতে হয়। তাই কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা সবচেয়ে জরুরি-

১. মদ্যপান না করা।
২. ওজন কমানো।
৩. ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডস নিয়ন্ত্রণে রাখা।
৪. শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে।
৫. নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।

সূত্র: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক/হেলথলাইন

জেএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।