এসময় শিশুর জ্বর হলে যেসব খাবার দিতে পারেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৮ পিএম, ০৭ আগস্ট ২০২৪

কখনো খুব গরম আবার কখনো বৃষ্টির কারণে হালকা ঠান্ডা লাগছে। আবহাওয়ার এমন পরিবর্তনের ফলে বড়দের পাশাপাশি শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে জ্বর, ঠান্ডায় আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়া বর্ষায় ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ বেড়ে যায়। ফলে জ্বর, ঠান্ডা, ফ্লু দেখা দিতে পারে।

এসময় শিশুর জ্বর হলে ভয় পাবেন না। বাড়িতে যত্ন নিন, প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। জ্বর হলে মখের স্বাদ কিছুটা পরিবর্তন হয়, ফলে শিশুর খাবারের অনীহা দেয়। এ সময় সাধারণ খাবার দিন শিশুকে, সেই সঙ্গে কয়েকটি খাবার বেশি দেওয়ার চেষ্টা করুন এতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়ার পাশাপাশি শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে শিশু।

চিকেন সুপ
শিশুরা এমনিতেই মুরগির মাংস খেতে পছন্দ করে। এসময় শিশুকে মুরগির মাংসের স্যুপ বানিয়ে দিতে পারেন। এতে শরীর পাবে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ। সেই সঙ্গে এতে মজুত প্রোটিনের গুণে সন্তানের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাও দ্রুত চাঙ্গা হয়ে উঠবে।

ডাবের পানি
এসময় শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বেরিয়ে যায়। সেই সঙ্গে ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য এলোমেলো হয়ে যায়। তাই শিশুর জ্বর এলে তাকে ডাবের পানি খাওয়ান। তাতেই তার শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ হবে। সেই সঙ্গে ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্যও ফিরবে।

মধু
শিশুকে কিছুটা মধু খাওয়াতে পারেন। এতে আছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ। যার ফলে মধু খেলে শরীরে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, এই মিষ্টির গুণে বাড়ে ইমিউনিটি।

ওটস
জ্বর হলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি হতে পারে। ফলে শিশু দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। এই সমস্যার সমাধানে তাকে ওটস খাওয়াতে পারেন। তাতেই মিলবে উপকার। দুধের সঙ্গে ওটস খাওয়াতে পারেন। এতে থাকা একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণে বাড়ে ইমিউনিটি। যার ফলে দ্রুত জ্বর থেকে সেরে ওঠে সন্তান।

ডিম
ডিমে রয়েছে প্রোটিনের ভাণ্ডার। যেই কারণে ডিম খেলে বাড়ে ইমিউনিটি। এছাড়া ডিম হলো ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার। এমনকি ডিম খুব সহজপাচ্যও বটে! শিশুকে জ্বরের সময় সিদ্ধ ডিম খাওয়াতে পারেন। তবে এই সময় তাকে ডিমের পোচ বা ডিমের অমলেট খাওয়াবেন না।

তাজা ফল
শিশুকে ফল খাওয়াতে পারেন। নরম, রসালো ফল যেমন তরমুজ, কমলালেবু, আঙ্গুর এবং বেরি শুধু হাইড্রেটিং করে না, ভিটামিন ও খনিজও সরবরাহ করে। অ্যাসিডিক ফল এড়িয়ে চলুন।

টকদই
সাধারণ কম চর্বিযুক্ত দই সহজেই হজম করা যায় এবং প্রোবায়োটিক সরবরাহ করে যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে। চিনিযুক্ত দই এড়িয়ে চলুন। এতে শরীরের ব্যাক্টেরিয়া নষ্ট হবে।

সূত্র: হেলথ লাইন

কেএসকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।