সাধারণ জ্বর-সর্দিও হতে পারে মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবার লক্ষণ

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:১৪ পিএম, ০৬ জুলাই ২০২৪
মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবায় আক্রান্ত হয়ে অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে

ব্রেন ইটিং অ্যামিবা বা মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবার সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন, এমন খুব একটা শোনা যায় না। কারণ চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস বলছে, খুব বেশি কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হননি।

তবে যারা এর শিকার হয়েছেন, তাদের মধ্যে কেউই বাঁচেননি। কারণ কেউ এই ভাইরাসে সংক্রমিত কি না তা বুঝতে বুঝতেই সময় চলে যায়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এরই মধ্যে মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবায় আক্রান্ত হয়ে অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে।

সাধারণ জ্বর, সর্দি, মাথা ব্যথাই কাল হয়ে দাঁড়ায়। যেহেতু সংক্রমণের সংখ্যা খুবই কম, তাই চিকিৎসকদের ধারণাতেও সহজে ব্রেন ইটিং অ্যামিবার কথা আসে না।

সাধারণ, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া বা অন্যান্য ধরনের জ্বরের পরীক্ষা করতে করতে সময় চলে যায়। তবে বিজ্ঞান বলছে, সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে রোগীকে বাঁচানো গেলেও যেতে পারে।

কীভাবে অ্যামিবার সংক্রমণ ছড়ায়?

সাধারণত ট্যাপের পানি, পুকুর বা জলাশয়ের পানি থেকেই অ্যামিবা শরীরে প্রবেশ করে। মূলত পানির মাধ্যমেই নাক দিয়েই সোজা মস্তিষ্কে পৌঁছায় এটি।

আরও পড়ুন

সেখানে গিয়ে ব্রেনের স্তর ও কোষ ধীরে ধীরে নষ্ট করতে থাকে। ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করানো হলে রোগী দুই সপ্তাহের মধ্যেই মারা যান।

এর লক্ষণ কী কী?

>> প্রচণ্ড মাথাব্যথা
>> প্রচণ্ড জ্বর
>> সর্দি-কাশি
>> শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা ইত্যাদি।

এই সংক্রমণ এড়াতে কী কী করবেন?

১. ট্যাপ কলের পানি দিয়ে নাক ধোয়া একেবারেই বন্ধ করতে হবে।

২. পুকুরে গোসল, সাঁতার কাটা বা খেলার মতো ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। নাক দিয়ে পানি যাতে শরীরে না যায়, দেখতে হবে সেটাও।

৩. পানি ক্লোরিন ট্যাবলেট দিয়ে ফিল্টার করে তবেই নাক মুখ ধুতে ব্যবহার করুন। দরকারে ওয়াটার পিউরিফায়ারের পানি ব্যবহার করুন।

সূত্র: এবিপি নিউজ

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।