কাঁঠাল খেলে যেসব পুষ্টি পাবেন
বাংলাদেশে গ্রীষ্ম-বর্ষা মানেই নানা ধরনের ফলের বাহার। আম, জাম ও কাঁঠাল তার মধ্যে অন্যতম। আবার কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। এটি রসালো ও সুস্বাদু। নানা পুষ্টিতে ভরপুর এই কাঁঠাল। এতে আছে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, বি-১, বি-২, সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়ামসহ নানা পুষ্টি উপাদান। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা কাঁঠালে ৭২-৯৫% পানি, আমিষ ১.২-১.৯ গ্রাম, শর্করা ১৬-২৫ গ্রাম, চর্বি ০.১-০.৪ গ্রাম, আঁশ ১-১.৫ গ্রাম, ভিটামিন এ ১৭৫-৫৪০ আই.ইউ, ভিটামিন সি ৭-১০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৯১-৪০৭ মিলিগ্রাম, জিঙ্ক ০.১৩ মিলিগ্রাম, ফোলেট (বি-৯): ২৪ μg, বিটা-ক্যারোটিন: ৬১ μg।
কাঁঠাল পুষ্টিসমৃদ্ধ হওয়ায় তা মানবদেহের জন্য বিশেষ উপকারী। যেমন:
১. কাঁঠালে ক্যারোটিনয়েডস থাকে। যা প্রদাহ, হৃদরোগ, ক্যানসার এবং বয়স-সম্পর্কিত চোখের সমস্যাগুলোর সঙ্গে লড়াই করতে সহায়তা করে।
২. লিগনানস নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা হৃদরোগ, স্তন ক্যানসার এবং অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
৩. ফ্ল্যাভোনয়েডস; এ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে, হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
৪. কাঁঠাল ফাইবারের একটি ভালো উৎস। তাই এটি মলত্যাগকে নিয়মিত রাখতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।
৫. কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। এটি বার্ধক্যের সঙ্গে লড়াই করে এবং ত্বককে দৃঢ় ও শক্তিশালী রাখে।
৬. কাঁঠাল কিছু প্রোটিন সরবরাহ করে। যা খাবারের পরে খুব দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
আরও পড়ুন
গরুর নেহারি খেলে কি সত্যিই শরীরে ক্যালসিয়াম বাড়ে?
বর্ষায় সর্দি-জ্বর থেকে বাঁচতে কী করবেন?
৭. কাঁঠালে পটাশিয়াম, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপাদানের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর সম্ভাবনা থাকতে পারে।
৮. এতে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে ভূমিকা রাখে এবং রক্ত সংকোচন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।
৯. এতে বিদ্যমান আয়রন রক্ত স্বল্পতা দূর করতে সহায়তা করে।
১০. বদহজম রোধ করে।
১১. দুশ্চিন্তা কমাতেও কাঁঠাল ভূমিকা রাখে।
১২. কাঁঠালে প্রচুর ভিটামিন এ থাকে। যা রাতকানা রোগ দূর করতে সহায়তা করে।
১৩. কাঁঠালে আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম উভয়ই আছে। যা ঘুমের মান উন্নত করতে অবদান রাখতে পারে।
১৪. কাঁঠাল হাঁপানির আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে।
এসইউ/জেআইএম