দুধ গরম নাকি ঠান্ডা, কোনটি বেশি উপকারী?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫১ পিএম, ০১ জুন ২০২৪
ছবি-সবারই উচিত প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ খাওয়া

সবারই উচিত প্রতিদিন অন্তত এক গ্লাস করে দুধ খাওয়া। এতে হাড় ও মাংসপেশি শক্ত হয়। এছাড়া এতে আছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, পটাশিয়ামসহ নানা ধরনের উপকারিতা। তবে ঠান্ডা নাকি গরম দুধ, কোনটিতে পুষ্টি বেশি তা কি জানেন?

বেশিরভাগ মানুষ গরম দুধ পান করতে পছন্দ করেন, আবার অনেকে ঠান্ডা দুধ পান করেই বেশি স্বস্তি পান। এ বিষয়ে ভারতীয় ডায়েট এক্সপার্ট ডা. রঞ্জনা সিং জানান, দুধ ঠান্ডা হোক বা গরম দুটোই উপকারী। আসলে আপনি দুধ গরম নাকি ঠান্ডা অবস্থায় পান করবেন তা পুরোপুরি নির্ভর করে ঋতুর ওপর।

অনেকেই দুধ পান করতে পছন্দ করেন না। তবে সবারই উচিত প্রতিদিন অন্তত এক গ্লাস করে দুধ পান করা। এতে হাড় ও মাংসপেশি শক্ত হয়। গরমে ঠান্ডা দুধ পান করলে শরীর ঠান্ডা থাকে।

এমনকি এটি পরিপাকতন্ত্রকেও ঠান্ডা রাখে। অন্যদিকে রাতে দুধ পান করে ঘুমনোর অভ্যাস থাকলে শীতের সময় গরম দুধ পান করবেন। এটি শরীরকে গরম রাখে ও ঠান্ডা লাগার হাত থেকে বাঁচায়।

আরও পড়ুন

এই বিশেষজ্ঞের মতে, দুধ গরম থাকলে তা খুব সহজেই হজম করা যায়। এতে পেট খারাপ, গ্যাস থেকে দূরে থাকতে গরম দুধ পান করুন।

ঘুমাতে যাওয়ার আগে গরম দুধ পান করলে ঘুম ভালো হয়, কারণ দুধে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড সেরোটোনিন ও মেলাটোনিনকে নিয়ন্ত্রণ করে শরীরকে বিশ্রাম দিতে সাহায্য করে।

ডা. সিং এর মতে, ঠান্ডা দুধ পান করলে শরীর ক্যালসিয়াম বেশি মাত্রায় গ্রহণ করতে সক্ষম হয়। এমনকি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে ঠান্ডা দুধ পান করলে খানিকটা আরাম মিলতে পারে।

শুধু তাই নয়, এর মধ্যে ইলেকট্রোলাইটস থাকায় এটি শরীরের আর্দ্রতাও বজায় রাখতে সাহায্য করে। তবে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠান্ডা দুধ পান না করাই ভালো। এতে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সঙ্গে কফ বা সর্দি-কাশির সমস্যাও হতে পারে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

জেএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।