পানের সঙ্গে জর্দা খেলে হতে পারে যে ক্যানসার

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৩২ পিএম, ৩১ মে ২০২৪
জর্দা হলো তামাকজাতীয় এক ধরনের নেশাজাত দ্রব্য

পান খাওয়ার অভ্যাস আছে অনেক নারী পুরুষেরই। শুধু পান তো নয়, এর সঙ্গে চুন, সুপারি, খয়ের, বিভিন্ন ধরনের জর্দা ইত্যদি মিশিয়ে পান খান অনেকেই। আর এতেই বাড়ে নেশা।

যদিও বা পানে কিছুটা পুষ্টিগুণ আছে, তবে বাকি উপকরণ কিন্তু শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে। জানলে অবাক হবেন, বিভিন্ন ধরনের জর্দা ও চুন নিয়মিত খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।

টারফেনলস নামক উপাদানের উপস্থিতির কারণে পান খাওয়ার কারণে ঠোঁট ও জিহ্বায় লাল দাগ পড়ে। পানের সঙ্গে যে চুন খাওয়া হয়, সেটি হলো ক্যালসিয়াম অক্সাইড বা ক্যালসিয়াম হাইড্রোঅক্সাইড। এই চুন দাঁতের জন্য ক্ষতিকর।

চুনে আরও আছে প্যারা অ্যালোন ফেনল, যা মুখে আলসার বা ঘা সৃষ্টি করার মাধ্যমে জিহ্বার স্বাদ নষ্ট করে দিতে পারে। এ আলসার ধীরে ধীরে ক্যানসারে রূপান্তরিত হতে পারে।

অন্যদিকে জর্দা হলো তামাকজাতীয় এক ধরনের নেশাজাত দ্রব্য। অনেকেই দীর্ঘক্ষণ মুখের মধ্যে পান রেখেই ঘুমিয়ে পড়েন। এদের ক্ষেত্রে মুখের ভেতরে গালের এক পাশে আলসারসহ ক্যানসার পর্যন্ত দেখা দিতে পারে।

আন্তর্জাতিক ক্যানসার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের আইএআরসির গবেষকদের মতে, যারা তামাকজাতীয় দ্রব্যাদি জর্দা, চুন, কাঁচা সুপারি, খয়ের দিয়ে পান খান, তাদের ক্ষেত্রে অন্যদের তুলনায় ওরাল বা মুখের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি প্রায় পাঁচ গুণ বেশি।

আরও পড়ুন

সমীক্ষায় দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ায় পান-জর্দা খাওয়ার প্রচলন অনেক বেশি। ফলে বিশ্বের মোট মুখ ও মুখ গহ্বরের ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর ৫৮ শতাংশই দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে আছে।

কাঁচা সুপারিও অনেকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ এতে আছে উচ্চমাত্রার সাইকোঅ্যাকটিভ এলকালয়েড। যার কারণে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। কাঁচা সুপারি খেলে শরীরে গরম অনুভূত হয়।

এমনকি শরীর ঘেমে যেতে পারে, এমনকি হাইপারটেনশন বা রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। এর কার্যক্ষমতা এতটাই বেশি, নিকোটিন ও অ্যালকোহলের পাশাপাশি কাঁচা সুপারিকেও বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মানসিক বিভ্রমকারী মাদক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

দীর্ঘদিন ধরে চুন, জর্দা, পান ও কাঁচা সুপারি খেলে মুখের ভেতরে গালে সাদা সাদা ছোপ দেখা যায়, সেগুলো পরে শক্ত হয়ে স্থায়ী হয়ে যায় (ওরাল সাবমিউকাস ফাইব্রোসিস)। আর এই অবস্থাকে ক্যানসারের পূর্বাবস্থা বলা হয়।

তাই মুখের ভেতরে গালে সাদা বা লাল ছোপ ছোপ দাগ দেখা দিলেই দেরি না করে অবশ্যই নাক-কান-গলা বিভাগের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।

সূত্র: হেলথলাইন

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।