থাইরয়েডের স্বাভাবিক মাত্রা কত, কোন লক্ষণে সতর্ক হবেন?
থাইরয়েড গ্রন্থি আমাদের শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই এই গন্থি যদি সঠিকভাবে কাজ করতে না পারে তাহলে নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ে। আজ বিশ্ব থাইরয়েড দিবস। থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতেই উদযাপন করা হয় বিশ্ব থাইরয়েড দিবস।
নারী ও পুরুষদের শরীরে থাইরয়েডের পরিমাণ আলাদা আলাদা হয়। আবার শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রেও আলাদা আলাদা। কোন বয়সে কাদের কতটা থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন থাকে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
মহিলাদের থাইরয়েড হরমোনের স্বাভাবিক মাত্রা হলো, ১৮-২৯ বছর বয়সীদের ০.৪-২.৩৪ এমইউ প্রতি লিটার। ৩০-৪৯ বছর বয়সী নারীদের থাইরয়েড মাত্রা হওয়া উচিত ০.৪-৪.০ এমইউ প্রতি লিটার ও ৫০ - ৭৯ বছর বয়সীদের ০.৪-৪.৬৮ এমইউ প্রতি লিটার।
আর পুরুষদের থাইরয়েড হরমোনের স্বাভাবিক মাত্রা হলো যথাক্রমে, ১৮-৫০ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে ০.৫-৪.১ এমইউ প্রতি লিটার। ৫১-৭০ বছর বয়সীদের ০.৫-৪.৫ এমইউ প্রতি লিটার ও ৭১-৯০ বছর বয়সীদের ০.৪-৫.২ এমইউ প্রতি লিটার।
ছোটদের থাইরয়েড হরমোনের স্বাভাবিক মাত্রা
০-৪ দিনের শিশুদের থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা ১.৬-২৪.৩ এমইউ প্রতি লিটার। ২-২০ সপ্তাহ বয়সি বাচ্চাদের থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা ০.৫৮-২৪.৩ ৫.৫৭ এমইউ প্রতি লিটার। ২০ সপ্তাহ থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা ০.৫৫-৫.৩১ এমইউ প্রতি লিটার।
থাইরয়েডের লক্ষণ কী কী?
থাইরয়েড বেশি থাকলে ওজন কমে যায়, ক্ষুধা বেড়ে যায়, মেজাজ খারাপ থাকে, ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়, ক্লান্ত লাগে, হাত কাঁপে, হৃদস্পন্দন ওঠানামা করে, বারবার বাথরুমে যাওয়া লাগে, গলা ফুলে যায়, প্রচণ্ড উদ্বেগ দেখা দেয়, পেশি দুর্বল হয়ে যায়, প্রচণ্ড ঘাম হয়, অতিরিক্ত গরম লাগে।
আর থাইরয়েড কম থাকলে চুল পাতলা হয়ে যায়, ঋতুস্রাব খুব বেশি হয়, হৃদস্পন্দন কমে যায়, মানসিক অবসাদ বাড়ে, ক্লান্তি বাড়ে, ওজন বেড়ে যায়, শীত লাগে, জয়েন্টে বা পেশিতে ব্যথা বাড়ে, ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।
এসব লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে থাইরয়েড হরমোন পরীক্ষা করা উচিত। মনে রাখবেন, সঠিক চিকিৎসা ও জীবনযাপনে পরিবর্তন এনে সহজেই অনিয়ন্ত্রিত থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
সূত্র: মায়োক্লিনিক/এবিপি নিউজ
জেএমএস/জেআইএম