তাপপ্রবাহে শরীরের কোন অঙ্গে বেশি প্রভাব পড়ে?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৫৯ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
ছবি-তাপপবাহের কারণে শরীরে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়

তীব্র তাপপবাহের কারণে এখন অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। প্রতিদিনই রাস্তায় বের হলে কারও না কারও সঙ্গে ঘটে চলেছে এমন মর্মান্তিক ঘটনা। হিটওয়েভের জেরে শরীরের বেশ কিছু অঙ্গের ক্ষতি হয়।

তবে প্রথম কোন অঙ্গের উপর প্রভাব ফেলে বর্ধিত তাপমাত্রা? শরীরের কোন অংশকে দ্রুত বিপদের দিকে ঠেলে দেয় হিটওয়েভ?

সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের একটি সূত্র বলছে, তীব্র তাপপ্রবাহ হলে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর প্রভাব পড়ে। এরপর আমাদের সারা শরীরের সংবহন তন্ত্রের উপরে প্রভাব পড়ে হিটওয়েভের। এখানে সংবহন তন্ত্র বলতে বোঝানো হয় মূলত রক্ত সংবহন তন্ত্রকে।

অর্থাৎ যাকে ইংরেজিতে কার্ডিওকাসকুলার সিস্টেম বলা হয়। এর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে হার্ট। ফলে হার্টের উপরেও প্রভাব পড়ে হিটওয়েভের।

এরপর কেন্দ্রীয় অঙ্গ থেকে অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে রক্ত। অতিরিক্ত ডিহাইড্রেশন হলে শরীরে পানি কমে যায়। এর ফলে রক্তেরও ঘনত্ব কমতে থাকে।

আরও পড়ুন

এ সময় কেন্দ্রীয় অঙ্গ থেকে রক্ত শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে রক্তচাপ কমতে থাকে। আর রক্তচাপ দ্রুত কমে গেলে অজ্ঞান হয়ে পড়তে পারে যে কেউই।

তবে শরীরের নানা অঙ্গে রক্তের প্রবাহ সঠিক বজায় রাখতে হার্ট এ সময় বেশি পরিশ্রম করে। ফলে হার্টের পাম্প বেড়ে যায় ও হৃদস্পন্দনও বাড়তে থাকে।

রক্তচাপ ওঠানামা করে বলেই প্রভাব পড়ে কিডনিতে। কিডনির মধ্যে দিয়ে রক্তচাপ বেড়ে বা কমে গেলে রক্ত ঠিকভাবে চলাচল করে না। ফলে হঠাৎ করে কিডনিও বিকল হয়ে যেতে পারে।

কাদের ঝুঁকি বেশি?

>> বয়স যদি ৬৫ বছরের বেশি হয় বা চার বছরের কম হয়।
>> শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়লে।
>> রোদে অনেকক্ষণ থাকলে।
>> দীর্ঘ সময় রোদে কাজ করতে হলে।
>> মদ্যপান বেশি করলে।
>> শরীরের ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেলে।

তীব্র তাপপবাহে শরীরে কী কী ঘটে?

তাপপবাহের কারণে শরীরের বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ডিহাইড্রেশন, হিট স্ট্রোক, হিট এডিমা, হিট এক্সসন, ঘামাচি ইত্যাদি।

সূত্র: এবিপি নিউজ

জেএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।