গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে কোন ফল খাবেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২৯ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
ছবি- বিভিন্ন ফলে কুলিং প্রোপার্টি থাকে

প্রচণ্ড এই গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ফলে এ সময় খাদ্যতালিকায় বেশ কিছু ফল রাখা উচিত, যাতে গরমেও শরীর ঠান্ডা থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন ফলে কুলিং প্রোপার্টি আছে-

গরমের দিনে শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য খেতে পারেন তরমুজ। এই ফলের মধ্যে কুলিং প্রোপার্টি থাকে। এই ফলের রস খেতেও বেশ সুস্বাদু।

এছাড়া বিভিন্ন ধরনের পানীয় তৈরি করে নেওয়া যায় তরমুজের রসের সাহায্যে। তরমুজের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, অ্যামাইনো অ্যাসিড ও অন্যান্য কুলিং প্রোপার্টি আমাদের দেহের অতিরিক্ত তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

গরমকালে আমাদের শরীর ঠান্ডা রাখে তরমুজ। এছাড়া শরীর ডিহাইড্রেটেড হতে দেয় না। কারণ এই ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জলীয় উপকরণ।

গরমের দিনে অনেকেই ফ্রুট সালাদ খান। এক্ষেত্রে অন্যতম উপকরণ হলো শসা। শরীর ঠান্ডা রাখতে এই ফলের জুড়ি মেলা ভার। শসার মধ্যে জলীয় উপকরণ বেশি থাকায় এই ফল আমাদের শরীর হাইড্রেটেড রাখে। অর্থাৎ পানির ঘাটতি হতে দেয় না।

আরও পড়ুন

কমলালেবু শীতের সময়ের ফল। তবে আজকাল প্রায় সারাবছরই কমলালেবু পাওয়া যায়। তাই গরমের দিনে শরীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কমলালেবুও খেতে পারেন।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কমলালেবুর মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে জলীয় উপকরণ। তাই শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে শরীর ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি এই ফল শরীরে পানির মাত্রাও সঠিক পরিমাণে বজায় রাখে। ফলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা যায় না।

গরমের মৌসুমে কলা খেলেও শরীর ঠান্ডা থাকে। দেহের অতিরিক্ত তাপ শোষণ করে নিতে সাহায্য করে কলার মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপকরণ।

তবে আপনার যদি হুট করে ঠান্ডা অর্থাৎ সর্দি লেগে যাওয়ার সমস্যা থাকে তাহলে নিয়মিত কলা খাবেন কি না তা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াই ভালো।

সকালে যারা কর্নফ্লেক্স খান তারা সেই খাবারের মধ্যে মিশিয়ে নিতে পারেন কলার টুকরো। এছাড়া কলা দিয়ে খুব সহজে স্মুদি তৈরি করেও নেওয়া যায়। যাদের সহজেই অ্যাসিডিটি হওয়ার প্রবণতা আছে তারা কলা খাওয়ার ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকুন।

সূত্র: এবিপি লাইভ

জেএমএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।