বেশিক্ষণ রোদে থাকলে যে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:২৮ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০২৪
তীব্র গরমে অনেকে হিট স্ট্রোকের শিকারও হচ্ছেন

তীব্র গরমে কাবু ছোট থেকে বড় সবাই। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বয়স্কদের ক্ষেত্রে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি আরও বেশি। বিশেষ করে জরুরি কাজ ছাড়া অনেকেই সে অর্থে বাইরে বের হচ্ছেন না। তবে কাজের প্রয়োজনে বের হতেই হয় বড় অংশের মানুষকে।

এদিকে সূর্যের প্রখর রোদে সবারই জ্বালাপোড়া করছে গা-হাত-পা। এর থেকে মিলছে না নিস্তার। এই তীব্র গরমে অনেকে হিট স্ট্রোকের শিকারও হচ্ছেন।

বেশিরভাগ মানুষই পানিশূন্যতার শিকার হচ্ছেন। ফলে সবাই কমবেশি চিন্তিত। এসবের পাশাপাশি সূর্যের এই প্রখর রোদ শরীরের আরও অন্যান্য ক্ষতিও করতে পারে।

জানলে অবাক হবেন, সূর্যের আলোর কারণে ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে। এই ক্যানসারকে মেলানোমা ক্যানসার বলা হয়। শরীরের যেসব অংশ প্রচণ্ড সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসে সেখানে এই ক্যানসার বেশি হয়।

ক্যানসার বিশেষজ্ঞদের মতে, কড়া রোদ থেকে নিজেকে রক্ষা করা উচিত। নিজেকে যতটা সম্ভব হাইড্রেট রাখুন। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে রোদে বের না হওয়ার চেষ্টা করার কথাও বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন

শরীরে প্রখর রোদ পড়া এড়াতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মত, সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যেই বের হতে। এই সময়ে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় ও এর পরে সূর্যের আলো শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কড়া রোদে বাইরে যাবেন না, বাইরে গেলেও নিজেকে ঢেকে রাখুন।

সূর্য থেকে নির্গত অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়াও, যাদের পারিবারিক ইতিহাস ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে তাদের ত্বকে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে ত্বক ক্যানসারের ঝুঁকি কম। শ্বেতাঙ্গদের ত্বকে ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি। বিশেষ করে ঘাড় ও হাতে ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি।

ত্বক ক্যানসারের লক্ষণ কী কী?

>> যদি শরীরে আঁচিল দেখা যায় তবে তা ত্বকে ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
>> ত্বকে সাদা দাগ
>> ত্বকে চুলকানি ও ক্ষত
>> ঘাড়ে লাল দাগ
>> এছাড়া ত্বকে যদি বিশেষ কিছু পরিবর্তন দেখা যায়, তাহলে তা ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।

সূত্র: এবিপি নিউজ

জেএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।