ঈদে পোশাক ছাড়া আর কী উপহার দেবেন?
মুসলমানদের ধর্মীয় বৃহৎ উৎসব ঈদুল ফিতরের আর বেশি দেরী নেই। তাই তো মার্কেটে চলছে ঈদের কেনাকাটা। এই রমজান মাসজুড়ে সবার আগ্রহ থাকে পোশাকের প্রতি। তবে এর বাইরেও কিছু পণ্য উপহার দেওয়া যায় পরিবারের সদস্য বা আত্মীয়-স্বজনকে। তেমন কিছু সামগ্রী নিয়েই আজকের আয়োজন—
শিশুর খেলনা
ঈদে শিশুকে অবশ্যই পোশাক কিনে দিতে হবে। না হলে তার ঈদ একেবারেই জমবে না। ফলে এক ঈদেই এত পরিমাণ পোশাক সে উপহার পায় যে, সারাবছর না কিনলেও চলে। তাই পোশাকের বাইরেও শিশুকে বিভিন্ন খেলনা সামগ্রী উপহার দিতে পারেন।
গৃহস্থালি সামগ্রী
পরিবারের সদস্যদের জন্য পোশাক কেনা তো বাধ্যতামূলক। তবে এর বাইরেও ঘরের আসবাবপত্র বা শৌখিন কিছু কিনতে পারেন। যাতে ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে পারে। এর মধ্যে সোফা, ডাইনিং টেবিল, কর্নার সেলফ, বুক সেলফ, ওয়্যারড্রব, শোকেস প্রভৃতি হতে পারে এর অন্তর্ভুক্ত।
প্রযুক্তিপণ্য
ঈদের সময় হাতে নতুন একটি স্মার্ট ফোন না হলেই নয়। কিংবা একটা নতুন হাতঘড়ি বা সানগ্লাস কেনা যেতেই পারে। এ ছাড়া টেলিভিশন, ফ্রিজ, কম্পিউটার, ওভেন, ব্লেন্ডার, ইস্ত্রি মেশিন প্রভৃতি কেনা যেতেই পারে। তাতে ঈদের আনন্দে ঘরের বাড়তি একটা জিনিস হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন
বই
বইপড়ুয়া বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন বা পরিবারের সদস্যদের ঈদের সময় তার প্রিয় বই উপহার দিতে পারেন। কেননা ঈদের ছুটিতে তারা যেন বাসায় বসে পছন্দের বই পড়তে পারেন। সময় কাটাতে বই হতে পারে তার সঙ্গী।
শোপিস
ঈদ মানেই আনন্দ। এই আনন্দকে বাড়িয়ে তুলতে পারেন ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির মাধ্যমে। তার জন্য নানা রকম শোপিস কিনে আনতে পারেন। ঈদের আগে পরিচ্ছন্ন করার সময় নতুন নতুন শোপিস যুক্ত করে ঘর-বাড়িকে আনন্দময় করে তুলুন।
গাড়ি
ঈদ উপলক্ষে বিত্তশালীরা আপনজনকে গাড়ি উপহার দিতে পারেন। কম বাজেটের মধ্যেও কিনতে পারেন অনেকে। প্রয়োজন অনুসারে বাইসাইকেলও কিনে দিতে পারেন প্রিয়জনকে। তাহলে আনন্দ আরও বৃদ্ধি পাবে।
জুয়েলারি
পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে প্রিয়জনকে জুয়েলারি সামগ্রী উপহার দিতে পারেন। সোনার কিংবা ডায়মন্ডের সামগ্রীও কিনতে পারেন। যা সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থায়ী সম্পত্তি হিসেবেও থেকে যাবে।
এসইউ/এমএস