শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য সমাধানের উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৬ পিএম, ১৯ মার্চ ২০২৪
ছবি-কোষ্ঠকাঠিন্য শিশুদের মধ্য়ে প্রায়ই দেখা যায়

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। তার জন্য় নানা ওষুধ থেকে ঘরোয়া টোটকার উপরেও ভরসা রাখেন। তবে শিশুদেরও এই একই সমস্যা হতে পারে। শিশুদের মধ্যেও কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার প্রবণতা থাকে।

একাধিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কোষ্ঠকাঠিন্য শিশুদের মধ্য়ে প্রায়ই দেখা যায়। তবে এটি দীর্ঘদিন ধরে থাকে না। শুধু লক্ষণ দেখে দ্রুত সেটি চিনে নেওয়া জরুরি। শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কী কী লক্ষণ দেখা দিতে পারে ? কেনই বা হয়? জেনে নেওয়া যাক বিশদে।

কেন কোষ্ঠকাঠিন্য হয় শিশুদের?

শিশুদেরকে পুষ্টিকর ও ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার না খাওয়ানোর কারণেই মূলত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। বেশি পরিমাণে জাংক ফুড ও ফাস্ট ফুড খেলে এই সমস্যা বাড়তে পারে।

ফাইবার জাতীয় খাবার কম খাওয়ার ফলেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ে। আবার মানসিক চাপ থেকেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে শিশুদের। স্কুল, পরিবারের নানা ঘটনা থেকে এটি প্রায়ই হয়। এমনকি শিশুর টয়লেট ট্রেনিং ঠিকমতো না হলেও এই সমস্যা দেখা দেয়।

শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ কী কী?

>> কোষ্ঠকাঠিন্য হলে শিশুর পেটে ব্যথা বেড়ে যায়। ঘন ঘন সেই নিয়ে অভিযোগ কানে আসতে পারে।

>> শিশুর মলত্যাগের হারও কমে যায়। সপ্তাহে তিনবারের কম মলত্যাগ হলে বুঝতে হবে কোষ্ঠকাঠিন্য়ের সমস্যা কাবু পরিবারের ছোট্ট সদস্য।

>> মলত্যাগের সময় মলদ্বারে ব্যথা হতে পারে। সেই ভয়ে অনেকে মলত্যাগ করতে চায় না।

আরও পড়ুন

দাঁত না মাজলে হতে পারে হার্ট অ্যাট্যাক, বলছে গবেষণা
গরমে শিশুর যত্ন নেবেন যেভাবে

>> আবার কোষ্ঠকাঠিন্য হলে প্রচণ্ড চাপ দিয়ে মলত্যাগ করতে হয়। সেই পরিশ্রমের কাজও অনেকে এড়িয়ে যেতে চায়। তেমন ঘটনা দেখতে পেলে সতর্ক হওয়া জরুরি।

>> মলত্যাগের সময় রক্ত বের হতে পারে কিছু শিশুর। সেটিও কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ। তাই এমন লক্ষণ দেখলেও সতর্ক হতে হবে।

কী করলে কমবে কোষ্ঠকাঠিন্য?

কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে রোজকার কিছু অভ্য়াসে বদল আনা জরুরি। এর জন্য প্রথমেই খাবার খাওয়াতে বদল আনতে হবে। বাবা-মাকেও এদিকে নজর রাখতে হবে।

বেশি পরিমাণে ফাইবারজাতীয় খাবার যেমন- ফল, শাকসবজি খেতে হবে শিশুকে। অনেকেই এগুলো খেতে চায় না। তাদের রং-বেরঙের বিভিন্ন ফল মিশিয়ে মুখরোচক করে খাওয়ানো যেতে পারে।

শিশু মানসিক কোনো সমস্যায় ভুগছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিয়মিত খোঁজ রাখতে হবে তার মনের। নজর দিতে হবে শিশুর টয়লেট ট্রেনিংয়ে।

সময় দিয়ে এই ব্যাপারটিতে অভ্যস্ত করাতে হবে খুদেকে। পরিস্থিতি গুরুতর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

সূত্র: এবিপি লাইভ

জেএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।